ফেনীতে মাদকের অভিযানের নামে প্রতিবন্ধীকে হয়রানি
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাদক বিক্রি না করেও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তল্লাশির নামে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে ফেনী কলেজ রোডের প্রতিবন্ধী দরিদ্র রিকশা মেকার বিক্রম চন্দ্র দাস দুলালকে। মঙ্গলবার সকালেও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তল্লাশির নামে তার টং দোকানটি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
তাদের এ নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাকে উদ্ধারকালে স্থানীয়রা বলেন, ‘আসল জায়গায় হাত দেয় না, নিরীহকে হয়রানি।’
মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ফেনী অফিসের কর্মকর্তা সোমেন সেন যুগান্তরকে বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, ব্যবস্থা নেবেন এবং এমন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মাঝে মধ্যে এমন কথা শুনতে পাই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ফেনী মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. জীবন বড়ুয়া ও আবু তাহেরের নেতৃত্বে কলেজ রোডস্থ আপ্যায়ন আফরোজ টাওয়ারের সামনে ফুটপাতের প্রতিবন্ধী দরিদ্র রিকশা মেকার দোকানে অভিযান শুরু করেন। তল্লাশিকালে অধিদপ্তরের এক সিপাহি তার কোমরে হাত দিয়ে আটকে রাখেন। তিনি নিজেকে নিরপরাধী বলতে থাকলে সিপাহি তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করে। তল্লাশি শেষে কোনো মাদক না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। মঙ্গলবার সকালেও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তল্লাশির নামে তার টং দোকানটিতে অভিযান চালিয়ে তাকে হেনস্তা করে।
স্থানীয়রা তার নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জনতার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত সিপাহি তাকে ‘আদর করে মেরেছেন’ বলে দাবি করেন।
প্রতিবন্ধী দুলাল বলেন, স্থানীয় ছাত্র-জনতা না থাকলে তারা নিজ থেকে মাদক দিয়ে আমাকে চালান করত। তারা প্যান্টের পকেটে হাত দিলে, আমি বাধা দিলে সিপাহি আমার গায়ের ওপর হাত তুলেছে।
তিনি বলেন, বাস্তবে তাদের কাছে মাদক থাকে, পকেট মাদক দিয়ে চালান করিয়ে দেন। আমি নিজে মাদক গ্রহণ করি না বা বিক্রি করি না। তারা ইতোমধ্যে অনেককে আটক করে পকেটে মাদক দিয়ে হেনস্তা করেছেন এবং সুবিধা নিচ্ছেন।
