বিচারককে পিপির ঘুস প্রদানের অভিযোগে সদস্যপদ স্থগিত
যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিন শিকদার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে ঘুস দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে আইনজীবী সমিতি তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে একটি সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার (২৬১/২৫) আসামির জামিনের জন্য বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা সম্বলিত একটি খাম ও মামলার নথিপত্র পাঠান পিপি রুহুল আমিন। এ ঘটনায় বিচারক নীলুফার শিরিন নিজেকে অপমানিত বোধ করে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে আদালতপাড়ায় হৈচৈ শুরু হয়।
অভিযোগে বলা হয়, পিপি রুহুল আমিন পূর্বেও বিভিন্ন মামলায় আসামিপক্ষের হয়ে তদবির করেছেন এবং আদালতের আদেশ প্রত্যাশা মতো না হলে সাংবাদিকদের ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করেছেন। আলোচিত জুলাই শহীদ কন্যা ধর্ষণ মামলাতেও (৩৭/২৫) তিনি আসামিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সমিতির লিখিত সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক, দুদক, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে বলে জানান আইনজীবী সমিতির নেতারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হওয়ার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী সমিতি কখনো ঘুস, দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি প্রশ্রয় দেয় না। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা জরুরি সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
