জাবিপ্রবির কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীসহ ৫১ জনকে শাস্তি
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও সামাজিক মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মোট ৫১ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নুর হোসেন চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত ১৩ সদস্য বিশিষ্ট গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দণ্ডিতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন- সহকারী রেজিস্ট্রার আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান, সেকশন অফিসার রাসেল মাহমুদ ও মোতাব্বির হোসেন, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মির্জা হালিম ও উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী সোহাগ সরকার। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
সাজাপ্রাপ্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন ছাত্রী এবং ৩৭ জন ছাত্র।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে জাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাওসার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশকে ৫ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রীদের ওপর নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে হল শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার, ছাত্র হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম ইমন এবং ছাত্রলীগ আহ্বায়ক স্বাধীনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিনসহ মোট ৭ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত সৌরভ, মোকাররম হোসেন, মোশারফ হোসেন, আভিমান সরকার, সেবক দাস, মাসুদ রানা, ইতিসার সানিইমন, ছাত্র হল শাখার সাধারণ সম্পাদক সাকলাইন এবং ছাত্রী হল শাখার সভাপতি ঐশীসহ যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন- তাদের সনদপত্র স্থগিত করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম অপরাধে জড়িত ২৪ জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নুর হোসেন চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতদন্তের শুনানি শেষে ১৬তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ ও শৃঙ্খলাবিধি ২০১৯ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
