Logo
Logo
×

সারাদেশ

দা দিয়ে প্রথমে ফুফু পরে দাদির গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে সাইফুল

Icon

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম

দা দিয়ে প্রথমে ফুফু পরে দাদির গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে সাইফুল

খাগড়াছড়ির রামগড়ে পূর্ব বাগানটিলায় দাদি ও ফুফুকে একাই হত্যা করেছে সাইফুল ইসলাম। জমিসংক্রান্ত ও আর্থিক বিরোধের জেরে ঘরে থাকা বাঁশ কাটার দা দিয়ে প্রথমে ফুফু রাহেনা আক্তার ও পরে দাদিকে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ছয় দিন পর ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে সাইফুলকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা জানান খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।  

তিনি জানান, ঘটনার দিন আসামি সাইফুল তার দাদির বাড়িতে এসে টাকা চাইলে ভিকটিমরা তাকে গালমন্দ করেন। এরপর আসামি না খেয়ে দাদির ঘরে শুয়ে থাকেন এবং হত্যার পরিকল্পনা করেন। রাত গভীর হলে আসামির দাদি এবং ফুফু পার্শ্ববর্তী দুইটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় আসামি দাদির ঘরে থাকা বাঁশ কাটার দা দিয়ে প্রথমে ফুফু রাহেনা আক্তারের গলায় সজোরে কোপ দিয়ে হত্যা করেন। এরপর দাদিকেও একইভাবে হত্যা করেন।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও ভিকটিম রাহেনা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল চট্টগ্রামের ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর বাজারের দোকানদার নুরুল আলমের কাছে ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন। 

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার নিহত রাহেনা আক্তারের ছেলে মো. হাসান বাদী হয়ে রামগড় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ সাইফুল হককে গ্রেফতার করে।

এর আগে ২০ আগস্ট রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন মা ও মেয়ে। ২১ আগস্ট সকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, ২০ আগস্ট রাতে রামগড় পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাগানটিলা প্রত্যন্ত এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২১ আগস্ট সকালে ঘরের দরজা খোলা ছিল। রাতের কোনো এক সময় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুনি পালিয়ে যায়। মাটির তৈরি ঘরের তিনটি কক্ষের দুটিতে মা ও মেয়ের মরদেহ পড়েছিল খাটের ওপর। মশারিও টানানো ছিল। অপর কক্ষে খাটে মশারি টানানো দেখা গেলেও রাতে সেখানে কে ছিল তা জানা যায়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম