আ.লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং, সিপিপির উপ-পরিচালক অবরুদ্ধ
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কয়রায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি (সিপিপির) মিটিং করার সময় সিপিপি খুলনার উপ-পরিচালক জনতার হাতে অবরুদ্ধ হয়েছেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মুচলেকার মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হল রুমে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি, সিপিপির আড়ালে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগে উপ-পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন জনগণ।
জানা গেছে, সিপিপির খুলনার উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়া উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে সভার আয়োজন করে। ওই সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত সরকারের আমলে করা ওই কমিটিতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত আছেন। তাদের অনেকেই এলাকার বাইরে থাকায় স্থানীয়রা কমিটি পুনর্গঠন করার জন্য বারবার উপ-পরিচালককে বলে আসছে। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কর্ণপাত না করে আবারও গোপন সভার আয়োজন করে। কিন্তু স্থানীয় জনতা সেটা জানতে পেরে উপ-পরিচালককে সভা চলাকালে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কয়রা থানার ওসি ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিকদের উপস্থিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে সেখানে তিনি তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং লিখিত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান। এছাড়াও সিপিপির কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের আমলে কয়রায় একতরফা সিপিপির কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন কমিটি পুনর্গঠন না করে ওই কমিটির অনুকূলে সেফটি সামগ্রী, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করায় কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তখন থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে ছুটির দিনে তিনি তার ইচ্ছামাফিক সভা করা অবস্থায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও জনগণ তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সিপিপি খুলনার উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সিপিপির পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুল আবেদীন বলেন, কয়রা ইউএনওর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
