শার্শায় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের শাহাদতবার্ষিকী পালিত
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বীরত্ব সূচক খেতাবপ্রাপ্ত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৪তম শাহাদতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তার সমাধিস্থলে গার্ড অব অনার ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার ও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নূর উদ্দিন আহমেদ এবং সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ। এ সময় সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম, শার্শা থানার ওসি আব্দুল আলিম প্রমুখ।
পরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের আত্মত্যাগকে জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। প্রতি বছরের মতো এবারও তার শাহাদতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সংক্ষিপ্ত জীবনী: ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্ম নেন তিনি। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগ দেন। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নেন এবং আহত হন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৮ নম্বর সেক্টরে যোগ দেন এবং যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন যুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি সীমান্তে সহযোদ্ধাদের উদ্ধারের সময় কভার ফায়ার দিতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন।
তাকে শার্শার কাশিপুর সীমান্তে সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে মরণোত্তর দেশের সর্বোচ্চ বীরত্ব সূচক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ দেওয়া হয়।
