পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়া কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। ইউনূস সাহেবের আমলে এসব অপকর্ম ঘটছে। সরকারকে আমি সাবধান করছি, মানুষকে উসকানি দিয়ে ইমানদার মানুষদের ব্যবহার করে দেশে আর ধর্মীয় গৃহযুদ্ধ লাগাবেন না। 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুসের (মিছিল) পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তৌহিদী জনতা হোক আর যেই হোক আর যদি মাজার ভাঙে তাহলে খবর আছে। এ দেশের ইমানদার মানুষ কিন্তু রাস্তায় নামবে বলে দিলাম।

ফজলুর রহমান বলেন, যারা এ কাজ করেছে, তারা ইসলামের শত্রু। আমি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বলব, এ ধরনের জঘন্য কাজের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যাতে রাস্তায় তৌহিদি জনতা নামতে বাধ্য হয়। সুন্নিরা রাস্তায় নামলে তাদের ঠেকানো সহজ হবে না। এ দেশের ১২ আনা মুসলমানই সুন্নি। সুন্নিরা জামায়াতে ইসলামী নয়, তারা হলো ইমানে ইসলাম। তারা শান্তিপ্রিয় কিন্তু বিশ্বাস ও আকিদা রক্ষায় আপসহীন।

জুলুসটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক কুতুবশাহী মসজিদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফজলুর রহমান। সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে তার সব দলীয় পদ ও পদবি তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর এই প্রথম তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসমক্ষে হাজির হলেন।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শাহীন, উপজেলা আহলে সুন্নত জামাতের আহ্বায়ক মাওলানা জালাল উদ্দিন আশরাফী, সদস্য সচিব মাওলানা রেদওয়ানুল হক আশরাফীসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। তার বাড়ি ইটনায়।