৩য় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামীর ঘরে আগুন দিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ১ম স্ত্রী
১০ মাসের শিশুসহ দগ্ধ ৩
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাগুরায় সদর উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামে তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় স্বামীর ঘরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়ার পর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন প্রথম স্ত্রী।
আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বামী বাহারুল ইসলাম (৫০), স্ত্রী লাভলি খাতুন (৩০) এবং ১০ মাসের শিশু সন্তান রোহান মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শনিবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বাহারুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় বছর পাঁচেক আগে আরেকটি বিয়ে করে। এ ঘটনার পর উভয় স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে কিছুদিনের মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরও দুই বছর আগে বাহারুল নতুন করে লাভলি খাতুন নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে শ্রীমন্তপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে ওঠে।
এ ঘটনা নিয়ে পরিবারে নানা অশান্তি চলতেই থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দিবাগত রাতে বাহারুল স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুন ঘরের বাইরে থেকে বন্ধ করে দরজার নিচ দিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলে সুমি খাতুন স্থানীয় হাজিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
এদিকে ঘটনার পর প্রতিবেশীসহ বাড়ির অন্যান্যরা ঘরের মধ্যে আটকে পড়া অবস্থায় দগ্ধ বাহারুল, লাভলী এবং শিশু সন্তান রোহানকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. এহসানুল হক মাসুম জানান, পেট্রলের আগুনে দগ্ধ তিনজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। প্রত্যেকের শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে শনিবার দুপুরে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর প্রথম স্ত্রী সুমি নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
