Logo
Logo
×

কোভিড-১৯

গৌরীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪ বছরের চাল কোথায় গেল

Icon

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২০, ১২:২১ পিএম

গৌরীপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪ বছরের চাল কোথায় গেল

তালিকায় ৬০ জনের নাম থাকলেও তারা চাল না পাওয়ায় তদন্তে যান ইউএনও সেঁজুতি ধর

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজি) অধীনে তালিকায় ৬০ জনের নাম থাকলেও তারা কোনো চাল পাননি। তাহলে বিগত ৪ বছর ধরে এ চাল কে নিল?

এমনই প্রশ্ন তুলেছেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেঁজুতি ধর। আর এ ঘটনার জন্য রোববার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নে তদন্তে যান ইউএনও।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সরকার ও গৌরীপুর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর প্রশাসনিক সিদ্ধান্তক্রমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অধীনে প্রত্যেক ডিলারের দোকানের সামনে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রায় ৬০ জনের নাম থাকলেও তারা চাল পাননি।

বিগত ৪ বছর যাবত এ চাল কে নিল, ঘটনা তদন্ত ও সুবিধাভোগীদের চাল ফেরতের দাবিতে চাল বঞ্চিতরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও তাদের চাল ফেরত দেয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেন।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. রুকুনুজ্জামান পল্লবের দোকানে যান তদন্ত কমিটি। ডিলার ও চালবঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনও সেঁজুতি ধর চাল পায়নি এমন ৩৮ জনের নামে তাৎক্ষনিক নতুন কার্ড ইস্যু করেন। তাদেরকে এ মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল প্রদানের জন্য ডিলারকে আদেশ দেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার জানান, এ কর্মসূচির অধীনে প্রত্যেক সুবিধাভোগী বছরে ৫ বার ৩০ কেজি করে ১৫০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে পাওয়ার কথা ছিল। ইউএনওর নির্দেশে ডিলারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

ডিলার মো. রুকুনুজ্জামান পল্লব জানান, প্রত্যেক মাসে কার্ডধারী বা তার স্বজনরা চাল নিয়েছে।

ময়মনসিংহ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম