ধোবাউড়ায় ‘অভাবের চাপে’ চিরকুট লিখে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২০, ২১:২৩:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অভাব আর সন্তানের চাপে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ।
সোমবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,গিলাগড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৩০) বাড়ির টয়লেটে গিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে একটি চিরকুটে লিখেছেন, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নই। সংসারের অভাব ও সন্তানের চাপে ওই গৃহবধূ খুব টেনশনে রয়েছি। এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছি।
স্থানীয়রা জানায়, আয়েশার ৫টি সন্তান রয়েছে। একজনের বয়স ৫ মাস। এরই মাঝে আবারও ওই গৃহবধূ ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এছাড়া রয়েছে ঋণের বোঝা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এদের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিল তা তিনি জানেন।
ধোবাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং চিরকুটে লিখা অভাব আর সন্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটাই তার মৃত্যুর কারণ বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধোবাউড়ায় ‘অভাবের চাপে’ চিরকুট লিখে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অভাব আর সন্তানের চাপে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ।
সোমবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,গিলাগড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৩০) বাড়ির টয়লেটে গিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে একটি চিরকুটে লিখেছেন, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নই। সংসারের অভাব ও সন্তানের চাপে ওই গৃহবধূ খুব টেনশনে রয়েছি। এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছি।
স্থানীয়রা জানায়, আয়েশার ৫টি সন্তান রয়েছে। একজনের বয়স ৫ মাস। এরই মাঝে আবারও ওই গৃহবধূ ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এছাড়া রয়েছে ঋণের বোঝা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এদের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিল তা তিনি জানেন।
ধোবাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং চিরকুটে লিখা অভাব আর সন্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটাই তার মৃত্যুর কারণ বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।