কলকাতায় লকডাউনে মুড়ি খেয়ে ৪ দিন পার করল ৫ পরিবার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২০, ০৬:৩৬ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লকডাউনের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না পরিবারের উপার্জনকারীরা। কেউ ত্রাণ দিয়েও সাহায্য করছেন না। চুলায় জ্বলছে না আগুন। নিরুপায় হয়ে গত চার দিন ধরে মুড়ি খেয়েই ক্ষুধা মেটাচ্ছেন তারা।
এমন কষ্টকর দিনযাপন শুধু একজনের নয়, ভারতের পাঁচটি পরিবারের এই হীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, কাজের সূত্রে বিহার থেকে কলকাতার রানিয়ায় আসা ওই শ্রমিক পরিবারগুলো গত চার দিন ধরে মুড়ি খেয়েই ক্ষুধা নিবারণ করছিলেন। পাঁচ পরিবারে ২০ সদস্য। তাদের মধ্যে সাতজনই অবুঝ শিশু। এদের মধ্যে চার মাস বয়সী শিশুও রয়েছে। গত চার দিন ধরে মা শুধু মুড়ি খেয়ে যাচ্ছেন দেখে বুকের দুধ পাচ্ছে না শিশুটি।
অবশেষে পরিবারের এসব শিশুর অনাহারী মুখের দিকে তাকিয়ে ওই শ্রমিক পরিবারগুলোর একটির সদস্য রাহুল শর্মা টুইট করে নিজেদের দুর্দশার কথা জানান।
টুইটটি চোখে পড়ে বিহারের এক আরজেডি নেতার। রাহুলের সেই পোস্টটি রিটুইট করে রাজ্য সরকার, কলকাতা পুলিশ এবং বিহারের কয়েকজন আরজেডি নেতাকে ট্যাগ করেন তিনি। আর তাতেই টুইটারটি ভাইরাল হয়। সাড়া দেন তারা। ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি শ্রমিক পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, আলু ও ৫০০ মসুর ডাল দেয়া হয়েছে।
রাহুল বলেন, ২১ দিনের লকডাউনে পড়ে বসে বসে খেয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। এর পর লকডাউন আবার বাড়ানোয় দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা। স্থানীয়দের থেকেও সাহায্য চেয়ে পাইনি। গত মঙ্গল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মুড়ি খেয়েই থাকতে হয় আমাদের। খিদের জ্বালায় কাহিল হয়ে পড়ছিল বাচ্চাগুলো। হঠাৎ টুইট করার বিষয়টি মাথায় আসে। টুইটের পড়েই শনিবার সকালে চাল, ডাল ও আলু দিয়ে যায় পুলিশ। আপাতত কয়েক দিন এতে চলে গেলেও পরে কী হবে জানা নেই।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, কয়েক বছর ধরে বিহারের ভাগোলপুর থেকে এসে কলকাতার রানিয়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে এই পাঁচ শ্রমিক পরিবার। কাঠের কাজ ও মার্বেল পাথরের কারখানায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তারা। আচমকা লকডাউন ঘোষণার পর তারা বিহারে ফিরে যেতে পারেননি। কাজ বন্ধ থাকায় খাদ্য সংকটে পড়ে যান।
