নোবিপ্রবিতে করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচনে গবেষণা
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৩:০৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক ল্যাবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচন গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নোবিপ্রবি ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে ১০০টি করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচন কার্যক্রম এখন চলছে।
এর ধারাবাহিকতায় ৩০টি পজিটিভ নমুনার আরএনএ এক্সট্রাকশন করে সিডিএনএ তৈরি করা হয়। এরপর তা নোবিপ্রবি থেকে পাঠানো হয় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটে। এখানেই সাফল্যের দেখা পান গবেষকরা। ইতোমধ্যে আটটি করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচন সম্পন্ন হয়েছে। এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা কার্যক্রম করোনার টিকা তৈরিতেও সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন গবেষকরা।
বাংলাদেশে করোনা মহামারী হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা পোষণ করছেন নোবিপ্রবির উপাচার্য ড. দিদারুল আলম।
এ কার্যক্রমে যুক্ত আছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম, নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফোকাল পয়েন্ট প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, সমন্বয়ক প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহম্মদ বাহাদুর এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন প্রফেসর হাসান মাহমুদ রেজা।
গবেষকরা জানান, নোবিপ্রবি ল্যাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের উৎস, জিনগত পরিবর্তন, জীবন রহস্য উন্মোচন এবং পরবর্তীতে এ ভাইরাসের টিকা উৎপাদন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
দেশে মার্চে করোনা মহামারী শুরু হয়। পরে ১১ মে থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনুদানে নোবিপ্রবি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আরটি পিসিআর মেশিনে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালু করা হয়। ল্যাবে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১০টি উপজেলার কোভিড-১৯ নমুনা শনাক্তকরণ করা হয়। ইতোমধ্যে ল্যাবে ১৬ হাজার ৮৭৬ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে; যার মধ্যে তিন হাজার ৮১৫টি নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নোবিপ্রবি কোভিড ল্যাবের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য প্রেরিত নমুনা পরপর দুইবার আইইডিসিআর কর্তৃক শতভাগ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
