সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুগান্তর রিপোর্ট
০২ নভেম্বর ২০২০, ১৭:২৫:১০ | অনলাইন সংস্করণ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে আগামী শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার ব্যাপারে কথা হচ্ছে।তবে, আমরা সরকারিভাবে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কোভিড নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কাজেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও জনমনে আতংকিত হবার কারন নেই। সম্মিলিতভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরনোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০" পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
দেশে করোনার ভ্যাক্সিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাক্সিন আনা প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নেয়া হয়েছে।খুব দ্রুতই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সেবামূলক কাজে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার উদারতার সাথে কাজ করে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনাকালীন মহামারীতে দেশের সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা দিতে সরকার প্রতিদিন একজন করনোর রোগীর পেছনে সাধারণ বেডে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও আইসিইউ বেডে প্রতিদিন ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করছে।এভাবে একজন কোভিড রোগীর জন্য সরকার গড়ে দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করছে।
সন্ধানীর সেবাদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,"সন্ধানী ৪৩ বছর যাবৎ দেশের মানুষের জন্য মহৎ কাজ করে যাচ্ছে।সরকার সন্ধানীর সকল মহৎ কাজে সঙ্গেই থাকবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবদের যথাযথ উদ্যোগ নেবার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সন্ধানী কর্তৃক এখন পর্যন্ত ৪০৯০ টি কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে অনেকেই কর্ণিয়া দানে অঙ্গীকার করলেও শেষ পর্যায়ে তা আর দিতে পারেন না।অ ঙ্গীকারকারীর পরিবারের বাধায় অনেক সময় কর্ণিয়া পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি তানভীর হাসান ইকবাল,সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. মোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী, মহাসচিব ডা. মো. জয়নুল ইসলাম।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে আগামী শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার ব্যাপারে কথা হচ্ছে।তবে, আমরা সরকারিভাবে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কোভিড নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কাজেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও জনমনে আতংকিত হবার কারন নেই। সম্মিলিতভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা হবে।
সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরনোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০" পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
দেশে করোনার ভ্যাক্সিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাক্সিন আনা প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নেয়া হয়েছে।খুব দ্রুতই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সেবামূলক কাজে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার উদারতার সাথে কাজ করে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনাকালীন মহামারীতে দেশের সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা দিতে সরকার প্রতিদিন একজন করনোর রোগীর পেছনে সাধারণ বেডে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও আইসিইউ বেডে প্রতিদিন ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করছে।এভাবে একজন কোভিড রোগীর জন্য সরকার গড়ে দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করছে।
সন্ধানীর সেবাদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,"সন্ধানী ৪৩ বছর যাবৎ দেশের মানুষের জন্য মহৎ কাজ করে যাচ্ছে।সরকার সন্ধানীর সকল মহৎ কাজে সঙ্গেই থাকবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবদের যথাযথ উদ্যোগ নেবার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সন্ধানী কর্তৃক এখন পর্যন্ত ৪০৯০ টি কর্ণিয়া সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে অনেকেই কর্ণিয়া দানে অঙ্গীকার করলেও শেষ পর্যায়ে তা আর দিতে পারেন না।অ ঙ্গীকারকারীর পরিবারের বাধায় অনেক সময় কর্ণিয়া পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি তানভীর হাসান ইকবাল,সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. মোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী, মহাসচিব ডা. মো. জয়নুল ইসলাম।