সিরিজের মাঝে অতিরিক্ত মদ্যপানের অভিযোগ, সমালোচনার মুখে ইংল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুই টেস্ট বাকি থাকতেই হেরে যাওয়াকে মোটেও স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এই ভরাডুবির পেছনে দলের শৃঙ্খলা বা আচরণগত কোনো ঘাটতি আছে কি না, তা যাচাই করতে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি-কে।
ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টে পরাজয়ের পর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের উদ্যোগে ইংল্যান্ড দল নুসা সমুদ্রসৈকতে স্বল্প সময়ের জন্য বিশ্রামে যায়। উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের মানসিক চাপ কিছুটা কমানো। তবে এই সফর নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়—গুঞ্জন ওঠে, সেখানে নাকি কয়েকজন ক্রিকেটার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করেছেন।
মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন রব কি। তিনি জানান, নুসায় অতিরিক্ত মদ্যপানের অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। তবে এমন কিছু ঘটে থাকলে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার মতে, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য সিরিজ চলাকালে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল।
চাপ সামলাতে মদ্যপান কোনো সমাধান—এমন ধারণায়ও বিশ্বাসী নন রব কি। তিনি বলেন, অতিরিক্ত মদ্যপান মনোযোগ নষ্ট করে এবং পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
এর আগেও শৃঙ্খলাজনিত ইস্যুতে সতর্ক অবস্থানে যেতে হয়েছিল ইংল্যান্ড বোর্ডকে। হ্যারি ব্রুক ও জ্যাকব বেথেলের মদ্যপানের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বোর্ড আরও কঠোর হয়েছে।
রব কি আরও বলেন, খাবারের পর সীমিত পরিমাণে মদ্যপান বড় সমস্যা নয়, কিন্তু সীমা ছাড়ালেই সেটি শৃঙ্খলার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তাও অস্বীকার করেননি তিনি। তার মতে, নুসায় গিয়ে ফোন বন্ধ করে আরাম করা, খাওয়া-দাওয়া করা বা সৈকতে সময় কাটানো নিয়ে আপত্তির কিছু নেই। যদিও কিছু খেলোয়াড়ের অতীত আচরণের কারণে অভিযোগগুলো পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

