|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরুর ঠিক আগমুহূর্তেই তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের শুরুতেই বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে দল পরিচালনার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস শিবিরে। অব্যবস্থাপনা ও নানা সমস্যার প্রতিবাদে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন ছেড়ে চলে যান প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এবং সিনিয়র সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
মাঠ ছাড়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষোভ ঝরে পড়ে সুজনের কণ্ঠে। কোথায় যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, তিনি আর কোনোভাবেই বিপিএলের সঙ্গে থাকতে চান না। এরপর সহকারী কোচকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনে তার আর আগ্রহ নেই।
তালহা জুবায়েরও নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তার বিপিএল জীবনে এটিই সবচেয়ে বিরক্তিকর আসর। তিনি আর কাজ চালিয়ে যেতে চান না বলেও ইঙ্গিত দেন।
এ সময় সুজনকে হতাশার সুরে বলতে শোনা যায়, তার মেজাজ ভালো নেই এবং এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থায় তিনি নেই। তিনি অব্যবস্থাপনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থাপনার ওপর চরম অসন্তুষ্ট হয়েই সুজন ও তালহা মাঠ ছাড়েন। তারা টিম হোটেল থেকে জিনিসপত্র গুছিয়ে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এরই মধ্যে বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছেন। তারা আবার ডাগআউটে ফিরবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে ক্রিকেট অঙ্গনে আলোচনা চলছে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে চট্টগ্রামের মতো নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দায়িত্বও বিসিবির হাতে চলে যেতে পারে। আর তা হলে বিপিএলের সামগ্রিক মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে—এটাই স্বাভাবিক।

