Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার ওষুধে কি পা ফুলে যায়, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩০ পিএম

রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার ওষুধে কি পা ফুলে যায়, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ফাইল ছবি

ডায়াবেটিস আর রক্তচাপ এখন ঘরে ঘরে সমস্যা। আধুনিক জীবনযাত্রার জাঁতাকলে পড়ে মানুষ এখন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ছাড়াও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে মানুষ জীবনযাপনে পরিবর্তনসহ নানা ওষুধ ব্যবহার করছেন। কিন্তু এতে দেখা যাচ্ছে, সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে আপনার শরীরের পা এবং গোড়ালি ফুলে যাচ্ছে।—এমনটিই জানাচ্ছেন হায়দরাবাদের নিউরোলজিস্ট ডা. সুধীর কুমার।

সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ডা. কুমার বলেছেন, অনেক প্রচলিত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পা ফুলে যায়। সবচেয়ে বেশি দায়ী দুটি ওষুধ — অ্যামলোডিপিন, যা রক্তচাপ কমাতে ব্যবহৃত হয়। অন্যটি পাইওগ্লিটাজোন, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

তিনি বলেন, অ্যামলোডিপিন শরীরের ছোট রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করে। ফলে তরল পদার্থ আশপাশের টিস্যুতে জমে যায়। অন্যদিকে পাইওগ্লিটাজোন শরীরে সোডিয়াম ও পানি জমিয়ে রাখে, যার ফলে পা কিংবা পায়ের গোড়ালি নরম হয়ে ফুলে যায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে কিংবা যারা বেশি মাত্রায় এই ওষুধ গ্রহণ করেন, তারা এ সমস্যায় বেশি পড়েন।

এ ছাড়া প্রেগাবালিন নামক এক ধরনের ওষুধ আছে, যা সাধারণত স্নায়ুর ব্যথায় দেওয়া হয়, সেটিও একই রকম ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এই ওষুধ ক্যাপিলারির পারমিয়াবিলিটি বাড়িয়ে দেয় এবং শিরায় রক্ত জমে থাকে। ফলে পায়ের নিচে ফোলাভাব বা ফুলে যাওয়া দেখা দেয়।

ডা. কুমার বলেন, যদি কেউ নতুন করে এই ওষুধগুলো খাওয়া শুরু করার পর পায়ের ফোলাভাব দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। প্রয়োজনে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন কিংবা বিকল্প ওষুধ বিবেচনা করা হতে পারে।

অন্যদিকে একই মতপ্রকাশ করেছেন ডায়াবেটোলজিস্ট এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজীব কোভিল। তিনি বলেছেন, অ্যামলোডিপিন ও পাইওগ্লিটাজোনের মতো কিছু ওষুধে মানুষের পায়ে কিংবা গোড়ালিতে সামান্য ফোলাভাব হতে পারে। আর অ্যামলোডিপিন রক্তনালি শিথিল করে।

তবে এতে নিচের অংশে তরল জমতে পারে। আবার পাইওগ্লিটাজোন শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে। ফলে পায়ে ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটবে না বলে জানান ডা. কোভিল।

তিনি বলেন, এ ওষুধগুলো সঠিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিলে নিরাপদ। রোগীরা নিজের ইচ্ছায় ওষুধ বন্ধ করবেন না কিংবা ডোজ পরিবর্তন করবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ ঠিক করা। রোগীদের উচিত নিয়মিত চেকআপ করা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দ্রুত জানানো। নিজের শরীরের ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছেন ডা. কোভিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম