Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

সর্দিকাশি-অ্যালার্জিতে নাজেহাল, ছোট টোটকায় মিলবে মুক্তি

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৪ এএম

সর্দিকাশি-অ্যালার্জিতে নাজেহাল, ছোট টোটকায় মিলবে মুক্তি

সংগৃহীত ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এর মধ্যেই অনেকের গরম-শীত মিলিয়ে সর্দিকাশি শুরু হয়েছে। আবার দেখা গেছে, কারও সারা বছর লেগে আছে সর্দিকাশি। মৌসুম বদলের এই সময়টাতে শুকনো কাশি, জ্বর, অ্যালার্জির সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। এ সময়ে আবহাওয়ায় দ্রুত বদল ঘটে এবং ঠান্ডা পড়ার শুরু থেকেই নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাসের উপদ্রবও শুরু হয়। 

তাই এ সময়টাতেই শরীর খারাপ হয় সবচেয়ে বেশি। কেউ ভোগেন সর্দিজ্বরে, আবার কারও অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মতো সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আবার ত্বকের অ্যালার্জিতেও ভোগেন অনেকে। 

তবে আর যাই করুন না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালার্জির ওষুধ খাবেনও না, বন্ধও করবেন না। অ্যালার্জির ওষুধে মূলত আন্টিহিস্টামিন নামক উপাদান থাকে, যা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এবং গলা শুকিয়ে যাওয়া বা মূত্রত্যাগের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আপনার বিপদ বাড়তে পারে। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।

অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার ছোট যেসব টোটকা আছে—

আপনার ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কানে অস্বস্তি ইত্যাদি হতে পারে শীতকালীন অ্যালার্জির প্রধান লক্ষণ। এ ছাড়া চোখে জ্বালা ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, জ্বর ও ত্বকে সংক্রমণ হলেও সতর্ক থাকতে হবে। আর অ্যালার্জির জন্য ডাস্ট খুব খারাপ। যাদের  অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তারা মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে গেলেই মাস্ক পরুন। 

১. যাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে, তারা এই মৌসুমে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। সামান্য গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। সকালে হোক কিংবা অফিস থেকে ফিরে— যখনই গোসল করবেন, গরম পানি দিয়ে করুন। আর অল্প সর্দিকাশি হলেও আগে থেকেই লবণপানি দিয়ে গার্গল করবেন। আর প্রতিদিন গরম পানির ভাপ নিন।

২. বায়ুতে আর্দ্রতা ও ধুলাবালির পরিমাণের তারতম্য অ্যালার্জির বড় কারণ হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে ঘরে বায়ু পরিশুদ্ধ করার যন্ত্র বসাতে পারেন। আজকাল সাধারণত বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকানেই এ ধরনের যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়।

৩. আর বাড়ির ভেতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ প্রবেশ করতে দিন। কারণ রোদ না ঢুকলে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন অ্যালার্জির রোগীরা। ঘরবাড়ি ও পোশাক সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

৪. আর নিয়মিত আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা পান করুন। কারণ এতে অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে মধু খেলেও অ্যালার্জির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৫. অ্যালার্জির সমস্যা খুব বেশি থাকলে, শীত আসার আগেই ফ্লু বা নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন— টকজাতীয় ফল, আমলকী প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম