Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

মায়ের শরীরে ফলিক অ্যাসিড ও আয়রনের ঘাটতি, প্রভাব পড়তে পারে শিশুর ওপরও

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম

মায়ের শরীরে ফলিক অ্যাসিড ও আয়রনের ঘাটতি, প্রভাব পড়তে পারে শিশুর ওপরও

ফাইল ছবি

বহু নারী মাতৃত্বকালে স্পাইনা বিফিডায় ভুগে থাকেন। তবে নানা গবেষণায় দেখা গেছে, রোগটি জিনগত। কিছু ক্ষেত্রে মায়ের খাদ্যাভ্যাস ও পরিবেশগত কারণও এর জন্য দায়ী। মা গর্ভাবস্থাতেই রোগের বীজ বপন হতে থাকে। প্রসবের পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় নবজাতকের। স্পাইনা বিফিডা বিরলের মধ্যে বিরলতম রোগ, যা ভারতে প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে চার থেকে পাঁচজনেরই হয়। মেরুদণ্ডের গঠনগত ত্রুটি দিয়ে সূত্রপাত হয়, ধীরে ধীরে শরীর পঙ্গু হতে থাকে। 

মেরুদণ্ডের গঠন অসম্পূর্ণ থাকে এই রোগে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে ২০২৩ সালে ও চলতি বছরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’ থেকে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে গবেষকরা জানিয়েছেন, স্পাইনা বিফিডা কেন হয়, তার কিছু সম্ভাব্য কারণ জানা গেছে। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে মায়ের শরীরে কিছু কোষ সমষ্টিগতভাবে ‘নিউরাল টিউব’ তৈরি করে। এই ‘নিউরাল টিউব’ থেকেই পরবর্তীকালে শিশুর মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র তৈরি হয়। যদি কোনো কারণে এই টিউবের গঠন অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তা হলে শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের গঠনও অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘নিউরাল টিউব ডিফেক্ট’।

স্পাইনা বিফিডা নিয়ে জন্মানো শিশু ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না, উঠতে-বসতেও সমস্যা হয়। পরবর্তী সময়ে সেই শিশুই পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হতে পারে। মস্তিষ্কে পানি জমে সেটির বিকাশ ব্যাহত হয়। মলমূত্র ত্যাগে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। শরীরের নিম্নাঙ্গ অসাড় হয়ে যায়। মস্তিষ্কের গঠনগত ত্রুটি থাকায় বুদ্ধির বিকাশ ঠিকমতো হয় না। হাত ও পায়ের গঠনেও অসামঞ্জস্য থাকে। হাড় ভঙ্গুর হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, ‘সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড’ বাইরে বেরিয়ে আসছে, তখন স্নায়বিক রোগও দেখা দিতে থাকে।

এই রোগে জিন থেরাপিই একমাত্র চিকিৎসা। এখনো অবধি স্পাইনা বিফিডার তেমন কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা এই রোগটি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের শরীরে যদি ফলিক অ্যাসিড ও আয়রনের অভাব হতে থাকে, তা হলে শিশুর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

নারী ভারত

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম