খেলার ছলেই শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে পারেন, জেনে নিন কীভাবে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিশুর মন এমনিতেও খুব চঞ্চল। সারাদিন শুধু দৌড়ে বেড়ায়। পড়াশোনায় মন নেই। শিশুর দস্যিপনা সামলাতে গিয়ে নাজেহাল পরিবারের সবাই। এক জায়গায় বেশিক্ষণ স্থির হয়ে বসে থাকে না। পড়তে বসালে টিভির দিকে মন যায়। বারবার উঠে চলে যায়। তা সে পড়াশোনা হোক, খেলা কিংবা গানবাজনা। বসিয়ে রাখাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। যদিও বা পড়তে বসে, কিছুক্ষণ পরপরই নানা অজুহাতে উঠে যায়। বেশি বকাঝকা করলে চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করে। এমন শিশুর ক্ষেত্রে মনোযোগ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই মা-বাবার। কিন্তু বেড়ে ওঠার এই পর্যায়ে খেলার ছলেই তাদের বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটানো যায়। মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু কীভাবে?
চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার শিশুকে মনোযোগী করতে যা করা উচিত—
মননশীল খেলা
নানা রকম আকার ম্যাচ করতে দেওয়া, জিগস পাজল ও দাবা খেলা শিশুর ধীরে চলার শিক্ষা দেয়। ম্যাচ করতে গেলে ভাবতে হয়, মন দিতে হয়। এতেই তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। একই সঙ্গে পাজল সমাধান করার আনন্দ এবং তাদের আবার এ ধরনের খেলায় উৎসাহ জোগায়।
গল্প বলার খেলা
শুরুতেই অভিভাবকরা একটি গল্প শুরু করবেন। কয়েকটি বাক্য বলার পর শিশুকে গল্পটি এগিয়ে নিয়ে যেতে বলুন। আরও কয়েকটি বাক্য জুড়তে বলুন। এভাবে শিশু নতুন নতুন শব্দচয়ন করা যেমন শিখবে, ঠিক তেমনই কল্পনা শক্তিরও বিকাশ ঘটবে। ভাষার ওপর দখল বাড়বে এবং সৃজনশীলতারও বিকাশ হবে।
কাউন্টিং ব্যাকওয়ার্ড
আপনার শিশুকে ১ থেকে ১০০ অবধি গুনতে বলুন। তারপর ১০০ থেকে ১ অবধি পেছন দিকে গুনতে বলুন। শুরুতে হোঁচট খাবে, কিন্তু পরে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। এই সহজ খেলা বুদ্ধির বিকাশ ঘটাবে, মনঃসংযোগও বৃদ্ধি করবে। স্থির হয়ে বসে ভাবনাচিন্তা করতে পারবে শিশু।
ক্রস ক্রল
এটি ব্যায়ামের একটি পদ্ধতি। শিশুকে বলুন ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটু স্পর্শ করতে। আবার একই ভাবে বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের হাঁটু স্পর্শ করতে। পর্যায়ক্রমে এ পদ্ধতি চালিয়ে যেতে হবে। এই ব্যায়ামটি মস্তিষ্কের কোষগুলোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে। এতে মনঃসংযোগ বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তির উন্নত ঘটবে।
বৃক্ষাসন
সহজ কিছু যোগাসনেও মনঃসংযোগ বৃদ্ধি হবে। এর মধ্যে একটি বৃক্ষাসন। এর পদ্ধতি সহজ ও শিশুরা করতে পারবে। প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুটি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনতে হবে। তারপর শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে ডান হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতাটি বাম ঊরুর ওপর আনতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথার ওপর তুলতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এ ভঙ্গিতে এক পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আবার পা বদলে একই ভাবে আসনটি করতে হবে।
