বিষণ্ণতা। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিষণ্ণতার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জিনের। তাই জিনগত কারণেই মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়।
যুক্তরাজ্যের এডিনবোরো ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লিনিকে ব্রেইন সায়েন্সের অধ্যাপক এন্ড্রিউ ম্যাক্লনটোশের নেতৃত্বে এ গবেষণা প্রকাশিত হয় নেচার নিউরোসাইয়েন্স পত্রিকায়। এ গবেষণায় বেরিয়ে আসে এই তথ্য।
পৃথিবীর ২০ দেশের ২০ লাখ মানুষের কাছ থেকে নেয়া ব্যাপক তথ্যের ওপর করা হয় এ গবেষণা।
যাদের মধ্যে জিনগত পার্থক্য যত বেশি ছিল, তাদের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি ছিল।
আর এ গবেষণার মাধ্যমে বিষণ্ণতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
বিষণ্নতার কারণে মন খারাপ থাকা, উদ্যমহীনতা, নিরানন্দময়তা, ক্ষুধামন্দা, যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলাসহ নানারকম সমস্যা দেখা যায়।
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ে কেউ হয়তো কয়েক মাস ভোগেন। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এটি এতটাই তীব্র পর্যায়ে চলে যায় যে, তাকে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
এমনকি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেন।
বিভিন্ন কারণেই বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। যেমন যে কোনো স্ট্রেস বা চাপ, ট্রমা, আপনজনের মৃত্যু এবং এ রকম আরও বিভিন্ন পরিস্থিতি ব্যক্তিকে বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এমনকি জিনগত কারণে পারিবারিকভাবেও অনেকে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে।
গবেষণাটিতে মানুষের ডিএনএর রেকর্ডগুলোকে খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে একটি কমন ডিএনএর সন্ধান পাওয়া গেছে।
ধূমপায়ীদের মধ্যেও এই ডিএনএটি শনাক্ত করা গেছে।
উদ্বেগ ও বিষণ্ণতার মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক রয়েছে সেটি জানতে আরও অনেক গবেষণা চলছে।
