Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২০, ০৬:২৯ এএম

মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন জরুরি

ছবি: যুগান্তর

জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদান রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় শারীরিক ও  মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা সম্ভব। 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট এবং ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজনে ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে 'রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করতে প্রয়োজন হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন' শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা এ দাবি করেন।

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ। 

এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কান্ট্রি অ্যাডভাইজার শফিকুল ইসলাম। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান।

সৈয়দ মাহবুবুল আলম তার প্রবন্ধে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে বিদেশি সংস্থার মুখাপেক্ষী হতে হয়। নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় উৎসসমূহের দিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। স্থানীয় উৎসদাতা গোষ্ঠীর ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা কমাবে। এ ক্ষেত্রে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা শক্তিশালী করে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 

গাউস পিয়ারী বলেন, রাষ্ট্রের জনগণ সুস্থ থাকলেই দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। জনগণকে অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসাসেবা দেয়ার চেয়ে তাদের যাতে রোগ কম হয়, চিকিৎসা নির্ভরতা কমে, সেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে পারলে চিকিৎসার ওপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগতি সাধিত হবে। 

আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে দেশে স্বায়ত্তশাসিত, স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিতামূলক হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করা জরুরি।

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য সবার অধিকার। কিন্তু স্বাস্থ্যকে এখন অর্থের মানদণ্ডে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসাকেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতেই হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গড়তে হবে। আমাদের খাদ্যের বিশুদ্ধতার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। বর্তমানে দূষিত খাদ্যের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। আবার বিষাক্ত খাদ্যগ্রহণে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে।  

আবু নাসের খান বলেন, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশ ও প্রাণীর সুরক্ষায় নজর দিতে হবে। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ হবে প্রকৃতির স্বাভাবিকতার সঙ্গে জীবনকে মিলিয়ে নেয়ার অভ্যস্থতায় আইন, নীতি, পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নে কাজ করা।  

হেলাল আহমেদ বলেন, সব বয়সী মানুষের জন্য শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এসডিজির ১৭ নম্বর গোল অনুসারে অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিতে হবে। সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, অসংক্রমক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বহু খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২৫ বাস্তবায়ন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা জরুরি।  

আলোচনাসভায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, টিসিআরসি, এইড ফাউন্ডেশন, নাটাব, কারিতাস বাংলাদেশ, বিআরডিএস, নবনীতা মহিলা কল্যাণ সমিতি, কেরানীগঞ্জ হিউমেন রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস, স্টেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সুজন, নাগরিক অধিকার সুরক্ষা ফোরাম, আরাম ফাউন্ডেশন, আইডব্লিউবি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটসহ নানা সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।
 

স্বাস্থ্য

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম