ইউটিউব থেকে যৌনশিক্ষার কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ বাড়ছে
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৫৮ এএম
স্বাধীনতাপদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর আহমেদ। ছবি : যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইউটিউব থেকে যৌনশিক্ষা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা বিপথগামী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ও স্বাধীনতাপদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর আহমেদ।
তিনি বলেন, অনেক মেয়ের বিবাহের কিছুদিন পর বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, মেয়েটা কিন্তু কাল্পনিক সন্তুষ্টি চায়। মেয়েটি ইউটিউব দেখে বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখে, পর্ন সিনেমা দেখে দেখে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। পর্ন সিনেমায় একটা জিনিস দেখা যাচ্ছে এক ঘণ্টা ধরে একটা কাজ হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে তা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু মেয়েটা যে চাচ্ছে ছেলেটা পারে না। এক সময় তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এসব ঘটনা বড়লোকদের পরিবারে বেশি হচ্ছে। এতে ছেলেটি সবচেয়ে বিপদে পড়ে। কারণ তাকে ৫ লাখ, ১০ লাখ, ২০ লাখ কিংবা ৫০ লাখ টাকা কাবিন বাবদ পরিশোধ করতে হয়। এত সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে ছেলেপক্ষের পরিবার।
যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতাপদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু যুবক বিচ্ছেদের পর বিপদে পড়ে যায়। একটা ছেলে হয়তো বিদেশে শ্রমিকের চাকরি করে অনেক টাকা রোজগার করে দেশে ফিরে একটা ভালো মেয়েকে বিয়ে করে। তার বিয়ের পরপরই তার শারীরিক সমস্যা হয়। অর্থাৎ, স্ত্রীর যে প্রত্যাশা ওই ছেলেটা সেভাবে পারে না। এক দুইদিন পরই সে মাকে, খালাকে, মামীকে বা পরিবারের কাছে বলে বেড়ায় যে ছেলেটার মধ্যে পুরুষত্ব নেই। কোর্টে বিচারের জন্য যঅনেককে আমাকে সার্টিফাই করতে হয় আসলে ছেলেটা পুরুষত্বহীন কিনা?
কিন্তু দেখা যায়, কথাটা শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক নয়। ছেলেটা ঠিক আছে।
এছাড়া পুরুষ মোটা হলে যৌনশক্তি কেন কমে যায় কেন এর বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেন দেশের প্রখ্যাত চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক।
