বিশ্ব স্ট্রোক দিবস নিয়ে বিশেষ সচেতনতা সভা
স্ট্রোক প্রতিরোধে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৮ পিএম
ন্যাশনাল স্ট্রোক ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ (এনএসটিবি) এর উদ্যোগে ও হাই কেয়ার নিউরো স্পেশালাইজড হাসপাতালের সহযোগিতায় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্বে প্রতি ৬ জনে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। স্ট্রোক থেকে বাঁচতে দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দুশ্চিন্তা আমাদের জীবনীশক্তি মেরে ফেলে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্ট্রোক প্রতিরোধ প্রয়োজন সমন্বিত সচেতনতা। সামাজিক আন্দোলন মাধ্যমে এই সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
মূলত স্ট্রোক প্রতিরোধে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে।
রাজধানীতে এক সচেতনতা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর উত্তরা ৩ নাম্বার সেক্টরের হোয়াইট হল মিলনায়তনে ওই সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাশনাল স্ট্রোক ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ (এনএসটিবি) এর উদ্যোগে ও হাই কেয়ার নিউরো স্পেশালাইজড হাসপাতালের সহযোগিতায় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান।
সচেতনতা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ স্ট্রোক আমাদের মতো দেশে হবে। এর প্রধান কারণ অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি, ফাস্টফুড, ধূমপান ও অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল।
তিনি বলেন, স্ট্রোক প্রতিরোধে সবার আগে আমাদের লাইফস্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে, ডায়েট মেনে চলতে হবে ও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সচেতনতা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. মোর্শেল আলম। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাই কেয়ার জেনারেল এন্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এন এ খান এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এনএসটিবি এর ট্রাস্টি আকাশ আহমেদ।
প্রসঙ্গত, ২৯ শে অক্টোবর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালিত হয়।
