মেট্রোরেলের সংশোধনীসহ ১৭ প্রকল্প অনুমোদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে সোমবার একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পে তৃতীয় সংশোধনীসহ ১৫ হাজার ৩৮৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ হাজার ৪৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব এসএম শাকিল আকতারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- চট্টগ্রাম অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন, মানসম্পন্ন আলু বীজ উৎপাদন-সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ, গ্যাসের ৩টি অনুসন্ধান কূপ খনন এবং ঢাকার মিরপুরে জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য ১৫৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প। এছাড়া জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে ৩৬ জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট তৈরি, সচিবালয়-পরিবহণ পুল-মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট ও সচিব নিবাসের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প।
আরও আছে, নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, অটিজম ও এনডিডি সেবা প্রদান, জাপান হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ প্রজেক্ট, ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী ইকো সিস্টেম উন্নয়ন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ও গবেষণাগার উন্নয়ন, ক্লাইমেট রেনপনসিভ রিপ্রডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস প্রজেক্ট, এস্টাবলিস্টমেন্ট অব এসেনসিয়াল অ্যান্ড বায়োটেক রিসার্স সেন্টার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও কমিউনিটি ক্লিনিকের উন্নয়ন এবং সোনাগাজী ২২০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হলেও একনেক ও মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক চলবে। এছাড়া একনেকে উপস্থাপন হলেও সচিবালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য খাতের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ দুটি প্রকল্প পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। শোনা যায়- এখনো দুর্নীতি কমেনি। কিন্তু প্রকল্পে ঠিকাদার সংক্রান্ত দুর্নীতি তেমন করার সুযোগ পায়নি।
