সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার জানা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক—সবাই সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে দৈনিক টাকার রেটের ওপর নির্ভর করেন। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা-জোগানের ওপর ভিত্তি করে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করে।
এই প্রতিবেদনে ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের হালনাগাদ মুদ্রা বিনিময় হার তুলে ধরা হলো।
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (বাংলাদেশ ব্যাংক রেফারেন্স রেট)
ইউএস ডলার: ১২২.৩৮ টাকা
ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬৩.৪৮ টাকা
ইউরো: ১৪১.০৭ টাকা
সৌদি রিয়াল: ৩২.৫১ টাকা
কুয়েতি দিনার: ৩৯৭.২৩ টাকা
দুবাই দিরহাম: ৩৩.২০ টাকা
মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৮.৮৭ টাকা
সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪.৯৮ টাকা
ব্রুনাই ডলার: ৯৩.৯৮ টাকা
ওমানি রিয়াল: ৩১৬.৬৯ টাকা
কাতারি রিয়াল: ৩৩.৪৯ টাকা
বাহরাইন দিনার: ৩২৪.৩০ টাকা
চাইনিজ রেন্মিন্বি: ১৭.০৯ টাকা
জাপানি ইয়েন: ০.৮২ টাকা
দক্ষিণ কোরিয়ান ওন: ০.০৮ টাকা
ভারতীয় রুপি: ১.৩৭ টাকা
তুর্কি লিরা: ২.৯২ টাকা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৮.৯৪ টাকা
কানাডিয়ান ডলার: ৮৭.০১ টাকা
দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড: ৬.৬৯ টাকা
মালদ্বীপীয় রুপি: ৭.৯৪ টাকা
ইরাকি দিনার: ০.০৯ টাকা
লিবিয়ান দিনার: ২২.৪৮ টাকা
এই রেট অনুযায়ী আমদানিকারকরা মূল্য নির্ধারণ করেন এবং প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় মুদ্রা রূপান্তরের হিসাব করেন। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে।
মুদ্রা বিনিময় হারে পরিবর্তনের মূল কারণ
টাকার মানের ওঠানামা সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন মুদ্রার চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি প্রভাব ফেলে—
- বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ
- আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য
- বৈদেশিক ঋণের অবস্থা
- বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিস্থিতি
এছাড়া শেয়ারবাজারের সামগ্রিক অবস্থা থেকেও মুদ্রার মানের পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
কেন প্রতিদিন টাকার রেট পরিবর্তিত হয়?
প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হারের পরিবর্তন ঘটে বেশ কিছু কারণের ফলে, যেমনঃ
- বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা
- দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি
- বিদেশি বিনিয়োগ ও রিজার্ভের পরিবর্তন
- সুদের হার ওঠানামা
- আমদানি-রপ্তানি ঘাটতি
যেমন, কোনো দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিলে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যেতে পারে, ফলে মুদ্রার মানও হ্রাস পায়। আবার বৈদেশিক রিজার্ভ কমে গেলে টাকার ওপর চাপ পড়ে এবং এর মূল্য কমে যায়।
