Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বিয়ের টাকা জমাতে সঞ্চয় স্কিম, করবেন যেভাবে

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

বিয়ের টাকা জমাতে সঞ্চয় স্কিম, করবেন যেভাবে

ফাইল ছবি

দেশের বৃহত্তম ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকের বিবাহ সঞ্চয় স্কিম চালু রয়েছে। কারণ বিয়ে মানেই খরচ। আর এক বিশাল পরিমাণ অর্থ বহন করতে হয়। ছেলেপক্ষ কিংবা মেয়েপক্ষ—যে পক্ষই হোক না কেন, উভয়েরই বিয়ের সময় বড় অংকের অর্থ প্রয়োজন হয়। 

আর সোনালী ব্যাংকের বিবাহ সঞ্চয় স্কিম বিয়ের জন্য সঠিক অর্থনৈতিক প্রস্তুতি নিতে চাইলে একটি নিরাপদ ও লাভজনক উপায়। দেশের অন্যান্য ব্যাংকও অনুরূপ স্কিম পরিচালনা করে থাকে, তাই সবার পক্ষে উপযুক্ত বিকল্প রয়েছে। আরও কিছু আধুনিক সুবিধাও রয়েছে। যেমন সোনালী ব্যাংকের অন্য সঞ্চয়ী হিসাব থেকে কিস্তির টাকা কাটার ব্যবস্থা এবং অগ্রিম কিস্তি জমার সুবিধা।

সাধারণত আমাদের দেশে মেয়েপক্ষের খরচ বেশি হওয়ার কারণে মা-বাবারা সন্তানের বিয়ের জন্য আগে থেকেই টাকা জমানোর চিন্তায় থাকেন। সে কারণে মেয়ের বিয়ের খরচ মেটাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এখন বিশেষ বিবাহ সঞ্চয় স্কিম চালু করেছে। মা–বাবার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান অথবা নাবালক-নাবালিকা সন্তানের নামে এ হিসাব খোলা যায়। প্রাপ্তবয়স্করা এককভাবে এ হিসাব খুলতে পারেন। তবে অবশ্যই নমিনি থাকতে হবে। এ হিসাব দেশের যে কোনো সোনালী ব্যাংকের শাখায় খোলা যাবে এবং যে কোনো শাখায় টাকা জমা দেওয়া যাবে। গ্রাহক চাইলে মাসের যে কোনো দিন হিসাব এক শাখা থেকে আরেক শাখায় স্থানান্তর করতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংকের এই বিবাহ সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদ ১০ বছর। আপনি চাইলে নিজের কিংবা আপনার সন্তানের বিয়ের জন্য সঞ্চয় করতে পারেন। এই স্কিম খোলার জন্য সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও নমিনির সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হয়। টিআইএন নম্বর প্রয়োজন হতে পারে কিছু ক্ষেত্রে। মাসে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত এ সঞ্চয় করা যায়। ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০, ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা—প্রতি মাসে এই পরিমাণ কিস্তির যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন। সুদ পাওয়া যায় ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে।

সঞ্চয় স্কিমে মাসে নির্দিষ্ট একটি কিস্তি জমা দেওয়া হয়, যা কিস্তির অংক কাটা বা পরিবর্তন করা যাবে না। যে কোনো দিনে কিস্তি জমা দেওয়ার সুবিধা থাকায় সময়ের যে কোনো চাপ ছাড়াই টাকা জমা দেওয়া সম্ভব।

আবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও যদি হিসাব বন্ধ করতে চান, তবে জমা করা টাকা ও সুদের হার হিসাব করে ফেরত দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে হিসাব বন্ধ করলে মূল টাকা ফেরত পাওয়া যায়। আর ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ৪ শতাংশা সরল সুদ, ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ সরল সুদ এবং ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৬.৫ শতাংশ সরল সুদ পাওয়া যায়। মেয়াদ পূর্ণ হলে ৬.৫০ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ মিলবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম