অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা
যুগান্তর রিপোর্ট
০৫ জুলাই ২০২০, ২০:৪৭:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
করোনার এ সময়ে প্রবাসীদের পাশে থাকতে রেমিট্যান্সের ওপর বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
তবে অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে আরও এক শতাংশ বেশি প্রণোদনা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ এ ব্যাংকে কেউ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যাংক তাকে দেবে ১০৩ টাকা।
জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম রোববার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরেও এটি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক রেমিট্যান্সের ওপর ১ শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে আরও এক শতাংশ প্রণোদনা বেশি পাবেন।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। গত রমজান মাস থেকে এই প্রণোদনা চালু হয়েছে, চলবে আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে এই সুবিধা ভোগ করবেন।
সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স আহরণে অগ্রণী ব্যাংক শীর্ষস্থানে আছে জানিয়ে শামস-উল ইসলাম বলেন, এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে অগ্রণী ব্যাংকের সিঙ্গাপুরের একচেঞ্জ অফিস একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। সিঙ্গাপুরের প্রবাসীরা ব্যাংকে না এসেই অ্যাপসের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন।
জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার ৪০ শতাংশই এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৩৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন।
দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। অর্থাৎ এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের বছর।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স হয় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৮৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বেশি।
গত বছরের জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। গত জুনের ১৮৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স একক মাস হিসাবেও সর্বোচ্চ অংকের। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল গত বছরের মে মাসে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা
করোনার এ সময়ে প্রবাসীদের পাশে থাকতে রেমিট্যান্সের ওপর বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
তবে অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে আরও এক শতাংশ বেশি প্রণোদনা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ এ ব্যাংকে কেউ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যাংক তাকে দেবে ১০৩ টাকা।
জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম রোববার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরেও এটি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক রেমিট্যান্সের ওপর ১ শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে আরও এক শতাংশ প্রণোদনা বেশি পাবেন।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। গত রমজান মাস থেকে এই প্রণোদনা চালু হয়েছে, চলবে আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে এই সুবিধা ভোগ করবেন।
সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স আহরণে অগ্রণী ব্যাংক শীর্ষস্থানে আছে জানিয়ে শামস-উল ইসলাম বলেন, এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে অগ্রণী ব্যাংকের সিঙ্গাপুরের একচেঞ্জ অফিস একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। সিঙ্গাপুরের প্রবাসীরা ব্যাংকে না এসেই অ্যাপসের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন।
জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার ৪০ শতাংশই এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৩৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন।
দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। অর্থাৎ এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের বছর।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স হয় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৮৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বেশি।
গত বছরের জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। গত জুনের ১৮৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স একক মাস হিসাবেও সর্বোচ্চ অংকের। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল গত বছরের মে মাসে।