মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে, ধনেপাতা ৩২০ টাকা কেজি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মাছ ও সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঙ্গাস ও ট্যাপা ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছের দামই কেজিতে ৩০০ টাকার ওপরে। শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, মিরপুর-২, শেওড়াপাড়া, কচুক্ষেত ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীসহ সারা দেশেই সব ধরনের সবজির দাম বেড়েই চলেছে। সপ্তাহান্তে সবজি প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে সবজি মিলছে না। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো। সবজির দাম বাড়তি থাকলেও দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসে। যে কারণে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তবে মাছের দাম চড়া দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফল প্রস্তুত, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কলমিশাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা ও ডাঁটাশাক দুই আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ঝিঙা ৬০ টাকা, ক্যাপসিকাম ৩৫০ টাকা ও মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে মিলছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
লেবুর হালি মিলছে ১০ থেকে ২০ টাকায়, কাঁচাকলার হালি মিলছে ২০ টাকায়।
ধনেপাতা ৩২০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ১৬০। কাঁচা আমও কিনতে দেখা গেছে ৫০-৭০ টাকা দরে। শসার দাম বেশ বাড়তি। দেশি শসা ৬০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে আকারভেদে প্রতি পিস চালকুমড়া ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে অসময়ের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায় ও মুলা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংস-ডিম
পাঙ্গাস ও ট্যাপা মাছ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছের দামই কেজিতে ৩০০ টাকার ওপরে। ইলিশ, রুই, কাতলা, পাবদা বা ছোট মাছের দাম সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে।
মাছের দাম এত বাড়লেও এর পেছনের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারছেন না বিক্রেতারাও। তাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছেই।
রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জিওল মাছের মধ্যে এক কেজি শিং চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষের পোয়া, পাবদা ও তেলাপিয়া মিলছে যথাক্রমে ৪০০, ৩৫০ ও ২২০ টাকায়।
ছোট মাছের মধ্যে মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাঁচকি ৫০০ টাকায় ও পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে ইলিশের দাম যথারীতি চড়া। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৭০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে বাজারে সোনালি কক মুরগি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা, সাদা লেয়ার মুরগি ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন লাল ডিম মিলছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
