পোশাকশিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই: বিজিএমইএ
প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানিমুখী বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। রপ্তানির উৎসে কর হ্রাস, প্রণোদনা বাবদ অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতিতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। রপ্তানি আয়ের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, পোশাক খাত বরাবরই সরকারের সহায়তা পেয়ে আসছে, তা না হলে এত প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে শিল্প আজ এ পর্যায়ে আসতে পারত না। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানিমুখী বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা খুঁজে পাইনি। বিশেষ করে রপ্তানির উৎসে কর, রপ্তানি খাতগুলোর জন্য প্রণোদনা বাবদ অর্থ বরাদ্দের কোনো ঘোষণা আসেনি। এ মুহূর্তে রপ্তানি খাতগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই। কারণ শিল্প খাত অভূতপূর্ব বৈশ্বিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে ঋণের সুদের হার বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক কমেছে। জার্মানি অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছে, দেশটি মন্দার কবলে পড়েছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অবস্থাও ক্রমেই সঙ্গীন হচ্ছে। প্রধান ক্রেতা দেশে রপ্তানি কমে যাওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক।
রপ্তানিমুখী শিল্পের স্বার্থে রপ্তানির উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ, নগদ সহায়তার ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার, নন-কটন পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সোলার পিভি সিস্টেমের সরঞ্জাম আমদানিতে ১ শতাংশ হারে শুল্ক রেয়াতি প্রদান, রিসাইকেলিং শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া, পণ্য ও সেবাকে শুল্ক-ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, বন্ড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ দুবছরের পরিবর্তে ৩ বছর করার প্রস্তাব দেন তিনি।
পোশাকশিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই: বিজিএমইএ
যুগান্তর প্রতিবেদন
০২ জুন ২০২৩, ২১:৪৩:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানিমুখী বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। রপ্তানির উৎসে কর হ্রাস, প্রণোদনা বাবদ অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতিতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। রপ্তানি আয়ের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, পোশাক খাত বরাবরই সরকারের সহায়তা পেয়ে আসছে, তা না হলে এত প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে শিল্প আজ এ পর্যায়ে আসতে পারত না। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানিমুখী বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা খুঁজে পাইনি। বিশেষ করে রপ্তানির উৎসে কর, রপ্তানি খাতগুলোর জন্য প্রণোদনা বাবদ অর্থ বরাদ্দের কোনো ঘোষণা আসেনি। এ মুহূর্তে রপ্তানি খাতগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই। কারণ শিল্প খাত অভূতপূর্ব বৈশ্বিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে ঋণের সুদের হার বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক কমেছে। জার্মানি অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছে, দেশটি মন্দার কবলে পড়েছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অবস্থাও ক্রমেই সঙ্গীন হচ্ছে। প্রধান ক্রেতা দেশে রপ্তানি কমে যাওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক।
রপ্তানিমুখী শিল্পের স্বার্থে রপ্তানির উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ, নগদ সহায়তার ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার, নন-কটন পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সোলার পিভি সিস্টেমের সরঞ্জাম আমদানিতে ১ শতাংশ হারে শুল্ক রেয়াতি প্রদান, রিসাইকেলিং শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া, পণ্য ও সেবাকে শুল্ক-ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, বন্ড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ দুবছরের পরিবর্তে ৩ বছর করার প্রস্তাব দেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023