ভারতের পুশইন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিচক্ষণ প্রতিক্রিয়া
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যেসব ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে আছে, তাদেরকে ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না। যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফেরত পাঠানো হবে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বেশকিছু দিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পুশইনের ঘটনা বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশটি থেকে পুশইন করা ব্যক্তিদের আটক করছে বিজিবি। বেআইনি এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ভারত মান্দারবারি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন করেছিল। জায়গাটা আমি পরিদর্শন করেছি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ভারতকে আমরা জানিয়েছি, আমাদের কোনো বাংলাদেশি যদি ভারতে থেকে থাকে, তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠান। কিন্তু ভারত সেটি না করে পুশইন করছে। উল্লেখ্য, শুক্রবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পুশইনের চেষ্টা করেছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিজিবি ও আনসার সদস্যরা তা রুখে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা কামনা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আপনারা সবাই সহযোগিতা করলে ভারত পুশইন করতে পারবে না। উল্লেখ্য, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পুশইনের ঘটনা বহুদিন ধরেই ঘটে চলেছে।
অসংখ্য বাংলাদেশি বেকার থাকলেও বাংলাদেশের শ্রম বাজারে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় কাজ করছেন, যা বহুল আলোচিত। শুধু তাই নয়, অবৈধ ভারতীয় নাগরিকরা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ভারতে পাচার করছেন, এটাও বহুল আলোচিত। বস্তুত বাংলাদেশে বৈধ কিংবা অবৈধভাবে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা নিয়ে সম্প্রতি এক বড় ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক মাস আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে ১ লাখের বেশি ভারতীয় কাজ করছে এবং তারা প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার হুন্ডি পদ্ধতিতে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা সম্পর্কিত বিভ্রান্তি নিরসনেও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাসহ অবৈধভাবে দেশে অবস্থান করছেন বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার নাগরিক। অবৈধভাবে এসব নাগরিকের বিষয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আমাদের দেশে যাতে কোনো বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বলা হয়ে থাকে, বিভিন্ন খাতে দেশে দক্ষ কর্মীর অভাব থাকায় বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হলে দেশে দক্ষ কর্মীর অভাব দূর করার কাজটি কঠিন নয়।
