ত্রিপক্ষীয় জোট গঠন
শান্তি-সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তান আঞ্চলিক শান্তি-সমৃদ্ধি-স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কাজ করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে আলোচনা করেছে। কুনমিংয়ে ১৯ জুন এ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান উইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকের প্রথম পর্যায়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অংশ নেন। সান উইডং বলেছেন, চীনের সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চীনের ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার। তিনি আরও বলেছেন, তিন দেশেরই প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল পরিবেশ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে দেশগুলো বিস্তৃত আলোচনা করেছে। তিন পক্ষ এই মর্মে একমত হয়েছে যে, তাদের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি হবে ভালো প্রতিবেশীসুলভ, সমতা, পারস্পরিক আস্থা, উদার, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অভিন্ন উন্নয়ন, উইন উইন কো-অপারেশন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই যেন দেশের ত্রিপক্ষীয় কাঠামো আক্ষরিকভাবে ‘বহুপক্ষীয়তা ও উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাবাদের’ ওপর ভিত্তি করে রচিত। এ কাঠামো কোনো তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে নয়। ত্রিপক্ষীয় এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে তিন দেশ ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার সঙ্গে নিজ নিজ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য একসঙ্গে কাজ করলে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। জানা যায়, তিন দেশ বাণিজ্য, শিল্প, সমুদ্রবিষয়ক, পানিসম্পদ, কৃষি জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য শিক্ষা যুব সম্পৃক্ততা, সংস্কৃতি ও চিন্তা-চর্চাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে যৌথ প্রকল্প খুঁজে দেখতে সম্মত হয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় যৌথ কর্মী গঠন করতে তিন দেশ সম্মত হয়েছে। এসব সহযোগিতার লক্ষ্য তিন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। সমুদ্রবিষয়ক গবেষণার অনেক কাজ বেশ ব্যয়বহুল। কাজেই যৌথ উদ্যোগে সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা করেও তিন দেশের উপকৃত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা মনে করি, আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানবিষয়ক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে তিন দেশেরই উপকৃত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে তা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
