৪৩ বছর পর আওয়ামী লীগের দখলে কক্সবাজার-১
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:১৫ পিএম
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাফর আলম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাফর আলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেছেন। তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাফর আলমের প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হাসিনা আহমেদ পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২৬০ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাফর আলম ২ লাখ ১৯ হাজার ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
জাফর আলম চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
চকরিয়া উপজেলায় ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। পেকুয়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮৬। এ আসনে ভোটকেন্দ্র চকরিয়া উপজেলায় ৯৯টি ও পেকুয়া উপজেলায় ৪০টি।
সব ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতব্বরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপির ক্যাডারদের হামলায় নৌকা প্রতীকের কর্মী ছাত্রলীগের নেতা মো. আবদুল্লাহ (২৪) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. শামশুদ্দিন আহমদ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মরহুম মাহমুদুল করিম চৌধুরী ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির নেতা বর্তমানে জাতীয় পার্টির(জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ ১৯৮৬ সালে ও ১৯৮৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এনামুল হক মঞ্জু। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, একই বছরের ১২ জুনের নির্বাচনে ও ২০০১ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ ২০০৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
