‘স্ট্রেঞ্জার থিংস ৫’: অভিনেতাদের কমবয়সি দেখানো হয়েছে যেভাবে
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
বিশ্বে আলোড়ন তুলে চলেছে নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ সিরিজ। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বহুল প্রতীক্ষিত সিরিজ ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর পঞ্চম সিজন আনুষ্ঠানিকভাবে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। ডাফার ব্রাদার্স পরিচালিত পঞ্চম সিজনে ফিরে এসেছেন উইনোনা রাইডার, ডেভিড হারবার, মিলি ববি ব্রাউন, ফিন উলফহার্ড এবং নোয়া শ্ন্যাপসহ মূল অভিনেতারা।
তবে, সিরিজটির সবচেয়ে আলোচিত দিক হলো ডিজিটাল ডি-এজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিনেতাদের কমবয়সি রূপে দেখানো। এটি বিনোদন জগতে ও ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
কেন ডি-এজিং অপরিহার্য ছিল?
‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ প্রথম প্রিমিয়ার হয়েছিল নয় বছরেরও বেশি আগে। এই সময়ের মধ্যে সিরিজের তরুণ অভিনেতারা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বড় হয়ে গেছেন। কিন্তু কাহিনীতে নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে এবং প্রথম সিজনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো তুলে ধরতে অভিনেতাদের প্রায় এক দশক কমবয়সী দেখানোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় প্রযোজনা দল।
নোয়া শ্ন্যাপের চরিত্র উইল বায়ার্সকে এর একটি প্রধান দৃশ্যে দেখা যায়। ২১ বছর বয়সি শ্ন্যাপকে সেই দৃশ্যে যখন প্রায় ১০ বা ১১ বছরের উইল বায়ার্স হিসেবে দেখানো হয়, তখন এই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়।

যেভাবে কাজ করে ডি-এজিং কৌশল
বডি ডাবল ব্যবহার: ডি-এজিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দৃশ্যের চিত্রগ্রহণের সময় স্ট্যান্ড-ইন অভিনেতাদের ব্যবহার করা হয়।
ভিজ্যুয়াল এফেক্টসের জাদু: এরপর ভিএফএক্স (VFX) স্টুডিও ‘লোলা ভিএফএক্স’ স্ট্যান্ড-ইন অভিনেতার মুখের জায়গায় নোয়া শ্ন্যাপের কমবয়সি রূপটি ডিজিটালভাবে প্রতিস্থাপন করে। সিরিজের অন্ধকার ও রহস্যময় ‘আপসাইড ডাউন’ জগত এই প্রভাবটিকে আরও মসৃণভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
অন্যান্য উদাহরণ: এর আগে মিলি ববি ব্রাউনকেও সিজন ৪-এর ফ্ল্যাশব্যাক দৃশ্যে কমবয়সী দেখাতে একই ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল, যেখানে মার্টি ব্লেয়ার তার স্ট্যান্ড-ইন হিসেবে কাজ করেছিলেন।
হলিউডে ডি-এজিং এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার
ডিজিটাল ডি-এজিং হলিউডে প্রায় দুই দশকের পুরোনো কৌশল। ২০০৬ সালে ‘এক্স-মেন: দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড’-এ প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট এবং ইয়ান ম্যাকেলেনকে কমবয়সি দেখানোর মাধ্যমে এই পদ্ধতির শুরু। এরপর মার্ভেল স্টুডিওজ এই কৌশলটিকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলে। যেমন—২০১৯ সালের ‘ক্যাপ্টেন মার্ভেল’-এ স্যামুয়েল এল. জ্যাকসনকে প্রায় ২৫ বছর কমবয়সি দেখানো হয়েছিল।
সিনেমা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রযুক্তির এই বিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে চলচ্চিত্র ও সিরিজে ডিজিটাল ডি-এজিং আরও নিখুঁত এবং সাধারণ একটি অনুশীলন হয়ে উঠবে।
সূত্র: অবজারভার ভয়েস

