সৌদি আরবের অর্থায়নে
খালিদ বিন ওয়ালিদের বায়োপিক নির্মাণ করবেন ‘গেম অব থ্রোনস’ পরিচালক
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০১ পিএম
সৌদি আরবের প্রথম বড় প্রকল্প ঐতিহাসিক অ্যাকশন ছবি Unbroken Sword; হলিউডের টেকনিক্যাল টিম নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন চলচ্চিত্র জায়ান্টের জন্ম। এআই দিয়ে নির্মিত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চলচ্চিত্র নির্মাণে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হিসেবে দ্রুত উত্থান হচ্ছে সৌদি আরবের। সম্প্রতি ‘রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো তাদের নতুন ও অত্যাধুনিক প্লেমেকার স্টুডিওসের যাত্রা। রিয়াদের পশ্চিমে কিদ্দিয়া শহরে অবস্থিত ৫০ একরেরও বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই স্টুডিওটি সৌদি ফিল্ম সেক্টরের জন্য এক বিশাল মাইলফলক।
এই সুবিশাল স্টুডিওতে প্রথম যে বড় চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে, সেটি হলো— ‘আনব্রোকেন সোর্ড’ (Unbroken Sword)।
কেন ছবিটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
ঐতিহাসিক অ্যাকশন ফিচার এই ছবিটি হলিউডের অভিজ্ঞ পরিচালকের হাতে নির্মিত হচ্ছে। ছবিটি পরিচালনা করছেন আলিক সাখারভ, যিনি গেম অব থ্রোনস, হাউস অব কার্ডস এবং ওজার্ক-এর মতো বিশ্বখ্যাত সিরিজের জন্য পরিচিত। এতে আরও কাজ করছেন ‘হাউজ অব দ্য ড্রাগন’-এর জন্য পরিচিত ব্রিটিশ প্রযোজক রিচার্ড শার্কি।
সপ্তম শতকের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রটির মূল চরিত্র হলেন বিখ্যাত আরব যোদ্ধা খালিদ বিন আল-ওয়ালিদ। তিনি মরুভূমির প্রতিকূলতা পেরিয়ে রোমান এবং পারস্য সাম্রাজ্যের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
২০২৬ সালের প্রথম দিকেই ছবিটির মূল চিত্রগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে ২০০ জনেরও বেশি কর্মী প্রি-প্রোডাকশনের কাজ করছেন।
প্লেমেকার স্টুডিওস-এর লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
কিদ্দিয়া ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি দ্বারা সমর্থিত এই স্টুডিওটি কেবল সৌদি আরবের সিনেমা তৈরির কেন্দ্র হবে না, এটি বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও আকর্ষণ করবে।
এই স্টুডিওতে বিশাল ব্যাকলট ছাড়াও বর্তমানে দুটি সাউন্ডস্টেজ রয়েছে, এবং ২০২৬ সালের মধ্যে আরও দুটি সাউন্ডস্টেজের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা।
প্রযোজকদের আকৃষ্ট করতে সৌদি আরব ৪০% প্রোডাকশন রিবেট (উৎপাদন ব্যয়ের ওপর ছাড়) সুবিধা দিচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অংশ হিসেবে প্লেমেকার স্টুডিওসে পোস্ট-প্রোডাকশন, ভিএফএক্স (VFX) এবং মিউজিক স্টুডিও যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
সৌদি আরব ২০৩০ সালের মধ্যে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১০০টি চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে বৈশ্বিক চলচ্চিত্র নির্মাণের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
সূত্র: হলিউড রিপোর্টার

