রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ কেন নিষিদ্ধ করল উপসাগরীয় দেশগুলো
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ দেশ–বিদেশে বক্স অফিসে চমক দেখাচ্ছে। মুক্তির মাত্র চার দিনেই ছবিটি ভারতের বাইরে আয় করেছে ৪৪.০৮ কোটি রুপি। তবে গালফ অঞ্চলে মুক্তি পেলে এই আয় আরও অনেক বেশি হতে পারত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটি মুক্তি পায়নি। কারণ, বিভিন্ন মহলে ছবিটিকে ‘পাকিস্তান বিরোধী’ বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় উপসাগরীয় দেশগুলোর সেন্সর বোর্ড। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ছয়টি দেশই ছবিটি প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি।
এর আগেও এ ধরনের ভারতীয় ছবির ক্ষেত্রে গালফ অঞ্চলে একই ধরনের বাধা দেখা গেছে। ২০২৪ সালে হৃতিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ফাইটার’ শুরুতে সব গালফ দেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল, শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়া। পাকিস্তানের কিছু অংশ থেকে ছবিটির পুলওয়ামা হামলার উপস্থাপনাকে ‘পাকিস্তান বিরোধী প্রচারণা’ হিসাবে দাবি করা হয়েছিল।
অদ্ভুত বিষয় হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ‘ফাইটার’ মুক্তির এক দিন পরেই প্রদর্শন স্থগিত করা হয়। নির্মাতারা সংশোধিত সংস্করণ জমা দিলেও সেটি পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি আমিরাতের কর্তৃপক্ষ।
একই বছরে অক্ষয় কুমারের ‘স্কাই ফোর্স’ এবং জন আব্রাহামের ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’–ও পাকিস্তান–সম্পর্কিত কনটেন্টের কারণে একাধিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশে নিষিদ্ধ হয়।
এর আগে আর্টিকেল ৩৭০ (২০২৪) গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সার্টিফিকেশন পায়নি। টাইগার ৩ (২০২৩) ওমান, কুয়েত ও কাতারে নিষিদ্ধ হয়েছিল। দ্য কাশ্মীর ফাইলস (২০২২)–ও উপসাগরীয় বেশ কিছু দেশে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়; যদিও পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছবিটিকে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তির অনুমতি দেয়।
নিয়মিত এসব নিষেধাজ্ঞা দেখায় যে, পাকিস্তান–সম্পর্কিত সংবেদনশীল বিষয়বস্তুর কারণে গালফ দেশগুলো ভারতীয় ছবির ব্যাপারে কড়া অবস্থান নেয়। ফলে আন্তর্জাতিক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বক্স অফিসের সম্ভাব্য আয় কমে যাচ্ছে এসব ছবির।

