সালমান খান।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের ‘ব্যাচেলর’ তকমা আজও তার নামের পাশে রয়েছে। তিন দশকের ক্যারিয়ারে তিনি কখনো ‘প্রেম’, কখনো ‘রাধে’, আবার কখনো ‘টাইগার’ হয়ে বক্স অফিস শাসন করেছেন।
পর্দায় কিংবা বাস্তবে— একের পর এক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু 'ব্যাচেলর' তমকা ঘোচাতে পারেননি। এর মধ্যে জীবনের ৫৯ বছর কাটিয়ে ৬০ বছরে পা দিলেন সালমান খান।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভাইজানের ৬০তম জন্মদিন ছিল। পর্দায় উন্মুক্ত পেশিবহুল শরীর দেখিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তোলা এ অভিনেতা কেবল জনপ্রিয়তাই নয়, সম্পদের নিরিখেও আকাশচুম্বী উচ্চতায় রয়েছেন। প্রায় ২৯০০ কোটি টাকার বিশাল সম্পত্তির মালিক তিনি।
৬০ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে সালমান খানের এই সাম্রাজ্য নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই ভক্ত-অনুরাগীদের। তার সম্পদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বিখ্যাত ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট’। দীর্ঘ বছর ধরে এ বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকছেন তিনি। দোতলা এই ভবনের নিচতলায় সালমান এবং ওপরের তলায় তার বাবা-মা থাকেন। বর্তমানে এই বাড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির মুখে নিরাপত্তার খাতিরে সালমানের এই বাসভবনে বসানো হয়েছে বিশেষ বুলেটপ্রুফ কাচ।
ভাইজান সিনেমাপ্রতি পারিশ্রমিক নেন ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে টেলিভিশন রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’ সঞ্চালনা করে প্রতি বছর আয় করেন মোটা অংকের টাকা। নামি সব ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকেও আসে বড় অংকের সম্মানী।
তবে কেবল নিজের বিলাসিতাতেই মগ্ন নন সালমান খান। আয়ের একটি বিশাল অংশ ব্যয় করেন নিজের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বিয়িং হিউম্যান’-এর মাধ্যমে। দুস্থ মানুষের চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য কাজ করে এ সংস্থাটি।
এ ছাড়া সাগরের বুকে নিজস্ব ইয়োট ও শৌখিন গাড়ি আর রাজকীয় বাড়িতেই থাকেন না সালমান খান, চলেনও রাজকীয়ভাবে। এর আগে নিজের ৫০তম জন্মদিনে তিনি তিন কোটি টাকা দিয়ে একটি ব্যক্তিগত ইয়োট কিনেছিলেন, যেখানে প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করতে দেখা যায় তাকে। তার গ্যারেজে শোভা পায় অডি, বিএমডব্লিউ এবং মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো নামি ব্র্যান্ডের সব দামি গাড়ি।
শুধু তাই নয়; অর্পিতা ফার্মস ও অন্যান্য আবাসন মুম্বাইয়ের কোলাহল ছেড়ে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে সালমান ছুটে যান পানভেলের খামারবাড়িতে। বোন অর্পিতার নামে যার নাম রেখেছেন ‘অর্পিতা ফার্মস’।
১৫০ একর জমির ওপর নির্মিত এই ফার্ম হাউসে রয়েছে সুইমিংপুল, পশু খামার ও বিস্তীর্ণ চাষের জমি। অবসরে এখানে নিজেই কৃষিকাজ করেন ভাইজান। এই খামারবাড়ির মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া কার্টার রোড, ওরলি এবং সুদূর দুবাইতেও রয়েছে তার বিলাসবহুল আবাসন। সব মিলিয়ে ভাইজান ২৯০০ কোটি টাকার মালিক।
