আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সঙ্গীতের এ কিংবদন্তি ও মুক্তিযোদ্ধা জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন নীরবে নিভৃতে। মৃত্যুর আগে প্রায় ছয়টা বছর গৃহবন্দি হয়ে কাটিয়েছেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষী ছিলেন বুলবুল। তিনি সব বাধা-বিপত্তি আর হুমকির মধ্যেই আদালতে যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন বুক ফুলিয়ে।
কিন্তু এই সাক্ষ্য দেয়ার কারণে তাকে চড়া মূল্যই দিতে হয়েছে। হারিয়েছেন ছোট ভাইকে। রাজধানীর খিলগাঁও রেললাইনে তার ছোট ভাইয়ের গলাকাটা লাশ মিলেছিল।
ভাইয়ের এ মৃত্যু তাকে নির্বাক করে দিয়েছিল, যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি একাত্তরে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা এ মুক্তিযোদ্ধা।
ভাইয়ের শোকে নির্বাক সঙ্গীতের এ মানুষটা ঘর থেকেই বের হতেন না। এর মধ্যেই তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পরে সরকারি কঠোর নিরাপত্তায় বাঁধা পড়েন তিনি। একপর্যায়ে দেখা দেয় শারীরিক অসুস্থতা। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। তার হার্টে ধরা পড়ে ৮টি ব্লক। এ খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে মঙ্গলবার ভোর রাতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সঙ্গীতের কিংবদন্তি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
প্রায় ছয় বছরের গৃহবন্দি জীবন নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠা এ কিংবদন্তির সঙ্গী ছিল একমাত্র পুত্র সামির ও একান্ত সহকারী রোজেন।
