অভিনয়ে আলমগীরের সুবর্ণজয়ন্তী
অভিনয় ক্যারিয়ারে সুবর্ণজয়ন্তী পূর্ণ করেছেন অভিনেতা আলমগীর। কলেজ জীবনে নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭২ সালের ২৪ জুন আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তির আগেই সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ‘দস্যুরানী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমেরই ‘মমতা’ ও মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমায় কাজ শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ২৮ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘দস্যুরানী’। এর পর থেকে আজ অবধি ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
নন্দিত অভিনেত্রী শাবানার সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় (১০৬টি) অভিনয় করেছেন আলমগীর। অভিনয়ের বাইরে তিনি পরিচালনা ও প্রযোজনার সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’। পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’। সিনেমায় গানও গেয়েছেন তিনি। মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় তিনি প্রথম গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সত্য সাহার সুরে প্লে-ব্যাক করেন।
কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর আরও আটবার (বাংলাদেশের নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন আলমগীর। আলমগীর পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘একটি সিনেমার গল্প’। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’ও পেয়েছেন।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিজেকে মূল্যায়ন প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘নিজের অভিনয় সম্পর্কে মূল্যায়ন করার মতো অভিনেতা আমি নই। অভিনয়ের ব্যপ্তি এতো বিশাল, যার শেষ দেখা একজনমে সম্ভব নয়। অনেকেই আমাকে নানা বিশেষণে ভূষিত করেন, কিন্তু আমি সব সময় একজন অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার আজকের অবস্থানের নেপথ্যে অবশ্যই আমার প্রথম সিনেমার পরিচালক, যিনি আমাকে আবিষ্কার করেছেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এমনভাবে নায়ক হতে শিখিয়েছেন যেন আমি আকাশে উড়ে না যাই। যে কারণে এখনো আমি মাটিতেই হাঁটি। আর এখনকার সিনেমার কথা বলতে গেলে, অনেকের মাঝে সিনেমা নিয়ে হতাশা দেখা গেলেও আমি এতকিছুর পরও আশার আলো দেখি। বিশ্বাস করি, সিনেমায় সুদিন ফিরবেই। শুধু সিনেমার প্রত্যেকটি সেক্টরে সবার আন্তরিক অংশগ্রহণটাই জরুরি।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অভিনয়ে আলমগীরের সুবর্ণজয়ন্তী
অভিনয় ক্যারিয়ারে সুবর্ণজয়ন্তী পূর্ণ করেছেন অভিনেতা আলমগীর। কলেজ জীবনে নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭২ সালের ২৪ জুন আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তির আগেই সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ‘দস্যুরানী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমেরই ‘মমতা’ ও মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমায় কাজ শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ২৮ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘দস্যুরানী’। এর পর থেকে আজ অবধি ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
নন্দিত অভিনেত্রী শাবানার সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় (১০৬টি) অভিনয় করেছেন আলমগীর। অভিনয়ের বাইরে তিনি পরিচালনা ও প্রযোজনার সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’। পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’। সিনেমায় গানও গেয়েছেন তিনি। মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় তিনি প্রথম গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সত্য সাহার সুরে প্লে-ব্যাক করেন।
কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর আরও আটবার (বাংলাদেশের নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন আলমগীর। আলমগীর পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘একটি সিনেমার গল্প’। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’ও পেয়েছেন।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিজেকে মূল্যায়ন প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘নিজের অভিনয় সম্পর্কে মূল্যায়ন করার মতো অভিনেতা আমি নই। অভিনয়ের ব্যপ্তি এতো বিশাল, যার শেষ দেখা একজনমে সম্ভব নয়। অনেকেই আমাকে নানা বিশেষণে ভূষিত করেন, কিন্তু আমি সব সময় একজন অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার আজকের অবস্থানের নেপথ্যে অবশ্যই আমার প্রথম সিনেমার পরিচালক, যিনি আমাকে আবিষ্কার করেছেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এমনভাবে নায়ক হতে শিখিয়েছেন যেন আমি আকাশে উড়ে না যাই। যে কারণে এখনো আমি মাটিতেই হাঁটি। আর এখনকার সিনেমার কথা বলতে গেলে, অনেকের মাঝে সিনেমা নিয়ে হতাশা দেখা গেলেও আমি এতকিছুর পরও আশার আলো দেখি। বিশ্বাস করি, সিনেমায় সুদিন ফিরবেই। শুধু সিনেমার প্রত্যেকটি সেক্টরে সবার আন্তরিক অংশগ্রহণটাই জরুরি।’