Logo
Logo
×

বিনোদন

‘ধর্ষণ ইস্যু’: তিনশ টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন শাকিব, সমাধান হয়নি

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম

‘ধর্ষণ ইস্যু’: তিনশ টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন শাকিব, সমাধান হয়নি

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সহপ্রযোজককে ধর্ষণ এবং প্রযোজককে দিয়ে পতিতা ম্যানেজ করার অভিযোগে তোলপাড় সিনেপাড়া। এমন অভিযোগ করেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ চারটি সংগঠনে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগের একদিন না পেরোতেই সিনেমাটি সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়ে মীমাংসা করতে চেয়েছেন শাকিব খান। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় প্রযোজকের সঙ্গে বসেছিলেন শাকিব। তাদের মধ্যস্থতায় ছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। 

প্রযোজক রহমত উল্লাহ শাকিবের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অপু বিশ্বাস আমাকে বারবার ফোন করেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য। তিনি শাকিব খানের সঙ্গে আমাকে দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি পরিষ্কার বলেছি- আমার সঙ্গে দেখা করতে হলে শাকিবকে আসতে হবে। অপু কিছুক্ষণ পর শাকিবকে নিয়ে আসে।’

বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে প্রযোজক বলেন, একটি তিনশ টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে এসেছিলেন শাকিব। সেখানে শাকিব সাইন করে দিতে চেয়েছেন বারবার এই মর্মে যে, তিনি আমার সিনেমার কাজ শিগগিরই শেষ করে দেবেন। আমি কোনো সাইন নিইনি। কোনো মীমাংসাও হয়নি। শাকিব আবারও আমার সঙ্গে বসতে চেয়েছে, আমি বসব। সব কিছু ঠিক থাকলে আমার অভিযোগ হয়তো তুলে নিতে পারি, কিন্তু অভিযোগ যা করেছি সেটা শতভাগ সত্যি। শাকিবের কারণে আমি আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়ণের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেন। 

অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, শুটের সময় শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। বিষয়টি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীর মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হতো। 

সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়, যার মামলা নম্বর: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯। 

সেই ঘটনার সূত্র ধরে অভিযোগে রহমত উল্লাহ আরও বলেন, একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি ও কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারে টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই দিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেই দিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান। এর পর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।

শাকিব খান ধর্ষণ বুবলী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম