‘বলিউডের সবাই অনেক প্রফেশনাল’
অভিনেতাঅভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য নাটক, সিনেমায়। তবে প্রায় দেড় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ফিরেছেন দেশে। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য নাটক, সিনেমায়। তবে প্রায় দেড় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ফিরেছেন দেশে। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
দেশে ফিরলেন কবে?
ফিরেছি বেশ কয়েকদিন হলো। তবে কাউকে কিছু জানাইনি। কিছুটা সময় একান্তে থাকতে চেয়েছিলাম।
এখন কী দেশেই থাকবেন?
কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রে এবং কিছু সময় দেশে থাকব। এভাবেই এখন কাজ করব। কারণ আমার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে পড়ে। তার যখন ছুটি থাকবে তখন দেশে এসে কাজ করে যাব। এখন যে পরিস্থিতি, বিশেষ করে আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আমার ছেলেকে একা ছাড়তে চাচ্ছি না।
নতুন কাজ শুরু করেছেন?
নতুন কাজ নয়, পুরোনো অনেকগুলো কাজ আটকে ছিল, সেগুলোই শেষ করছি। যেহেতু আমি প্রায় দেড় বছর দেশের বাইরে ছিলাম, অনেকগুলো সিনেমার কাজ শেষ করা হয়নি। দেশে ফিরে সেগুলো শেষ করছি।
কয়টি সিনেমার কাজ হাতে রয়েছে?
‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘মুক্তি’, ‘গাঙচিল’ সিনেমাগুলোর দুই-একদিনের শ্যুট বাকি আছে। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘নদীর জলে শাপলা ভাসে’। চলতি মাসেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে আসিফ আকবর পরিচালিত ‘এমআরনাইন’ এবং হৃদি হক পরিচালিত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।
যুক্তরাষ্ট্রেও একটি সিনেমায় কাজ করার খবর শোনা গিয়েছিল...
হলিউডের একটি সিনেমাতে কাজ করেছি। নাম ‘ফ্ল্যাশ ইট’। এছাড়া আমেরিকান সিনেমা ‘বোন ইয়ার্ড’এও কাজ করেছি। যেখানে সহশিল্পী হিসেবে মেইল গিবসনের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি।
হলিউডের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
শুরুতে কিছু অস্বস্তি লাগতো। মনে হতো যেন আমরা আলাদা কেউ। কিন্তু হলিউডের সবাই অনেক প্রফেশনাল। তারা আপনার কাজটাই দেখে, আপনাকে কাজ দিয়েই চেনে। তাই পরে আর আলাদা মনে হয়নি। এমনকি দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও আমি কোনোরকম বৈষম্য পাইনি। আমার চরিত্রে অনুযায়ী যেমন পরিবেশ আর কমফোর্ট আমার দরকার তেমনটাই পেয়েছি।
হলিউড এবং ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী?
দুটো ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য আসলে কাজের ধরণে। হলিউডে প্রি প্রোডাকশনে অনেক জোর দেয়া হয়। অনেক গোছানো আর সিস্টেম্যাটিক কাজ করে তারা। যেভাবে শিডিউল করা থাকে সেভাবেই হয়। যদি কোনো দিন শুটিংয়ে আট ঘণ্টার বেশি কাজের সম্ভাবনা থাকে তাও আগের দিন রাতে মেইল করে জানিয়ে দেয় তারা।
‘বলিউডের সবাই অনেক প্রফেশনাল’
নূসরাত অনন্যা
০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪৪:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
অভিনেতাঅভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য নাটক, সিনেমায়। তবে প্রায় দেড় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ফিরেছেন দেশে। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন অসংখ্য নাটক, সিনেমায়। তবে প্রায় দেড় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ফিরেছেন দেশে। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
দেশে ফিরলেন কবে?
ফিরেছি বেশ কয়েকদিন হলো। তবে কাউকে কিছু জানাইনি। কিছুটা সময় একান্তে থাকতে চেয়েছিলাম।
এখন কী দেশেই থাকবেন?
কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রে এবং কিছু সময় দেশে থাকব। এভাবেই এখন কাজ করব। কারণ আমার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে পড়ে। তার যখন ছুটি থাকবে তখন দেশে এসে কাজ করে যাব। এখন যে পরিস্থিতি, বিশেষ করে আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আমার ছেলেকে একা ছাড়তে চাচ্ছি না।
নতুন কাজ শুরু করেছেন?
নতুন কাজ নয়, পুরোনো অনেকগুলো কাজ আটকে ছিল, সেগুলোই শেষ করছি। যেহেতু আমি প্রায় দেড় বছর দেশের বাইরে ছিলাম, অনেকগুলো সিনেমার কাজ শেষ করা হয়নি। দেশে ফিরে সেগুলো শেষ করছি।
কয়টি সিনেমার কাজ হাতে রয়েছে?
‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘মুক্তি’, ‘গাঙচিল’ সিনেমাগুলোর দুই-একদিনের শ্যুট বাকি আছে। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘নদীর জলে শাপলা ভাসে’। চলতি মাসেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে আসিফ আকবর পরিচালিত ‘এমআরনাইন’ এবং হৃদি হক পরিচালিত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।
যুক্তরাষ্ট্রেও একটি সিনেমায় কাজ করার খবর শোনা গিয়েছিল...
হলিউডের একটি সিনেমাতে কাজ করেছি। নাম ‘ফ্ল্যাশ ইট’। এছাড়া আমেরিকান সিনেমা ‘বোন ইয়ার্ড’এও কাজ করেছি। যেখানে সহশিল্পী হিসেবে মেইল গিবসনের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি।
হলিউডের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
শুরুতে কিছু অস্বস্তি লাগতো। মনে হতো যেন আমরা আলাদা কেউ। কিন্তু হলিউডের সবাই অনেক প্রফেশনাল। তারা আপনার কাজটাই দেখে, আপনাকে কাজ দিয়েই চেনে। তাই পরে আর আলাদা মনে হয়নি। এমনকি দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও আমি কোনোরকম বৈষম্য পাইনি। আমার চরিত্রে অনুযায়ী যেমন পরিবেশ আর কমফোর্ট আমার দরকার তেমনটাই পেয়েছি।
হলিউড এবং ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী?
দুটো ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য আসলে কাজের ধরণে। হলিউডে প্রি প্রোডাকশনে অনেক জোর দেয়া হয়। অনেক গোছানো আর সিস্টেম্যাটিক কাজ করে তারা। যেভাবে শিডিউল করা থাকে সেভাবেই হয়। যদি কোনো দিন শুটিংয়ে আট ঘণ্টার বেশি কাজের সম্ভাবনা থাকে তাও আগের দিন রাতে মেইল করে জানিয়ে দেয় তারা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023