অভিনেত্রী শিমু হত্যা মামলায় আরও ৪ জনের সাক্ষ্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আরও চারজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নির আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। এদিন তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, অটোচালক মনির হোসেন, দুই কৃষক শহিদ মিয়া ও মনির হোসেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রনি মজুমদার বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল এবং এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এদিন দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওই রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পরদিন ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম উভয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হাসান মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ করেন।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
