Logo
Logo
×

বিনোদন

বাজার করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাধুরীর

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

বাজার করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাধুরীর

ছবি: সংগৃহীত

নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত এখনো রয়েছেন আগের মতোই। তার জনপ্রিয়তায় একটুকুও ভাটা পড়েনি। কিন্তু আজ নব্বইয়ের দশক পেছনে রয়েছে। তবু তার হৃদয়ের ধুকপুকুনি একই রকম উষ্ণ রয়েছে। বয়স তার মুখের রেখায় ধরা দিলেও, তবু আবেদন কমেনি একটুকুও।

ভারতীয় সিনেমা জগৎ যিনি শাসন করতেন দাপটে, তিনিই একদিন সব ছেড়ে চলে গেলেন আমেরিকায় সংসার করতে। ১৯৯৯ সালে অভিনয়জীবনের মধ্যগগনে মাধুরী বিয়ে করেন সফল চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে। চলে যান আমেরিকায়।

সেই সময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাধুরী জানান, তিনি রুপালি দুনিয়ার চাকচিক্য ছেড়ে সাধারণভাবে সংসার করতে চেয়েছিলেন। ছেলেদের বড় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রুপার চমক তো পিছু ছাড়ে না। আমেরিকায় গিয়ে বসবাস শুরু করলেও মাধুরীর মাহাত্ম্য চাপা থাকেনি, সেখানে যে হাজার ভারতীয়ের বসবাস। এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী জানিয়েছিলেন তার সেই অভিজ্ঞতার কথা।

অভিনেত্রী বলেন, কেউ কেউ আমাকে চিনে ফেলতেন। হয়তো আমি বাজার করতে গিয়েছি, হয়তো একটি টমেটো বা ফুলকপি তুলেছি হাতে, চোখাচোখি হয়ে গেল অন্য এক ভারতীয়ের সঙ্গে। তবে ওরা খুবই ভদ্র ও সংযত। হয়তো আমাকে বলে গেলেন, আমার সিনেমা তার খুবই পছন্দ। ব্যস! ওরা জানেন এটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্ত, আমাকে একা থাকতে দেওয়া উচিত। 

মাধুরী বুঝিয়ে দিয়েছেন ভক্তদের ভালোবাসার আতিশয্য সেই সময় তার কাছে কাঙ্ক্ষিত ছিল না। তিনি সাধারণ মানুষ হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সত্যিই কি তার মতো একজন অভিনেত্রীর পক্ষে এমন একটা জীবনযাপন করা সম্ভব?

মাধুরী বলেন, কখনো কখনো তার মনে হতো, কেউ যেন সত্যিই রাস্তায় তাকে চিনে ফেলুক। তিনি বলেন, ওই দেশে আমায় গাড়ি চালিয়ে সর্বত্র যেতে হতো। কিন্তু আমি কিছুতেই ঠিকানা খুঁজে পেতাম না। আমার তো অভ্যাস ছিল না। 

অভিনেত্রী বলেন, নিজের দেশে যখন যেখানে যেতে চাইতাম, চালকই নিয়ে যেতেন। সেই পথ হারিয়ে ফেলার সময়ে আমার মনে হতো— কেউ আমাকে চিনে ফেলুক, আর বুঝিয়ে দিন যে আমি ভুল পথে চলে এসেছি।

পরিবারের কাছেও নিজের গ্ল্যামার লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন মাধুরী। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে বসে নিজের সিনেমা দেখতেন না। বিশেষ করে সন্তানদের সামনে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম