
সাইমন সাদিকের ফেসবুক থেকে নেওয়া।
চিকিৎসা শষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আওয়ামী সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা আব্দুল হামিদ রোববার রাত পৌনে ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। ওই দিন রাত ৩টার দিকে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন।
এর আগে গত ৮ মে রাতে শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাই এয়ারওয়েজের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইটে যাত্রা করেন
দেশ ছাড়েন আব্দুল হামিদ। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ
নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ও তার
দল আওয়ামী লীগের পতন হলে দলটির অনেক নেতাকর্মী দেশ ছাড়লেও আবদুল হামিদ দেশে অবস্থান
করছিলেন। ৯ মাস পর চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।
আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় সারা দেশে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও বিক্ষোভ
শুরু হয়। জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার
এবং উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা
হয়।
তবে সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশে ফিরে আসায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই
তার প্রশংসা করেন। এ তালিকায় রয়েছে
চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সাইমন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ওই পোস্টে আব্দুল হামিদের সঙ্গে তার একটি
ছবি রয়েছে। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আপনার প্রতি একটু অভিমান ছিলো,কিন্তু গর্বের কোনো
কমতি ছিল না। কাল থেকে গর্বের পরিধি যেন আরো হাজার গুণ বেড়ে গেছে। আপনিই আসলে বাংলাদেশের
সেরা মহামান্য, দাদা। আপনি আমাদের কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশের অহংকার।’
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য জানা গেছে। গত ১৪
জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নাম
রয়েছে।