৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তান্বুলে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হাজারো তুর্কি নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। ছবি: আল-জাজিরা
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইউরোপের বিভিন্ন শহরে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। গাজায় দুই বছর ধরে চলা ইসরাইলি নৃশংসতার অবসান এবং মানবিক সাহায্য দ্রুত পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ হয়েছে নেদারল্যান্ডসে। অ্যামস্টারডামের মিউজিয়াম স্কোয়ারে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ জড়ো হয়ে শহরের কেন্দ্রের দিকে মার্চ করেছে। ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে এবং লাল পোশাকে সজ্জিত জনতা তাদের সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করেছে যে, ইসরাইলের প্রতি আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হোক এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা হোক।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া মেরিকে ভ্যান জিল বলেন, রক্তপাত বন্ধ হতে হবে। আমাদের এই দুর্বল সরকারের কারণে এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। আশা করি আমাদের এই প্রতিবাদ কিছুটা প্রভাব ফেলবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবাদের আয়োজন করেছে এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। ‘ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য সব অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায় ব্যবহার করতে হবে,’ বলেছেন এজেন্সির মুখপাত্র মারজন রোজেমা।
নেদারল্যান্ডসে সবচেয়ে বড় অংশগ্রহণ হলেও, তুরস্কে ইসলামী একাত্মতার প্রতীকী আন্দোলন নজর কেড়েছে। ইস্তান্বুলে হাজার হাজার মানুষ হায়া সোফিয়া মসজিদ থেকে গোল্ডেন হর্নের তীর পর্যন্ত পদযাত্রা করেছে।
আঙ্কারাতেও বিক্ষোভকারীরা পতাকা ও ব্যানার নিয়ে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে। কিরিককালে ফিলিস্তিনি সহায়তা প্ল্যাটফর্মের রেজেপ কারাবাল জানিয়েছেন, এই নিপীড়ন দুই বছর ধরে চলছে এবং গণহত্যায় রূপ নিয়েছে।
বার্সেলোনার কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ মার্চ করেছেন, অস্ত্র ব্যবসা ও ইসরাইলের সঙ্গে সব সম্পর্ক বন্ধের দাবি জানিয়েছে। সোফিয়াতে বুলগেরিয়ান বিক্ষোভকারীদের হাতে লেখা ছিল: ‘গাজা শিশুদের সবচেয়ে বড় সমাধিক্ষেত্র।’
মরক্কোর রাজধানী রাবাতে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি ইসরাইলি পতাকা পুড়িয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
