ইউরোপে যুদ্ধের শঙ্কায়: ফ্রান্সে হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
হাসান ইলিয়াছ তানিম, প্যারিস (ফ্রান্স) থেকে
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাশিয়া ও ন্যাটো-জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ইউরোপে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটির হাসপাতালগুলোকে ২০২৬ সালের মধ্যে ‘বড় ধরনের জরুরি পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্য সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
এই নির্দেশনা ২০২৫ সালের ১৮ জুলাই তারিখে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়। পরে মেট্রোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তথ্যটি ২০২৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে।
মেট্রো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ফ্রান্স সরকার হাসপাতালগুলোকে শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়নি বরং জরুরি অবস্থায় দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতাও নিশ্চিত করতে বলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সামরিক সংঘাত বা অন্য কোনো বড় জাতীয় সঙ্কটের জন্য প্রস্তুতির অংশ।
ফ্রান্স ছাড়াও জার্মানি, ইতালি, স্পেনসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সেনা ও জরুরি পরিষেবা শক্তিশালী করছে। নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কিছু দেশ জরুরি সরঞ্জাম ও খাদ্য সরবরাহ চেইনকে শক্ত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তেজনার মূল কারণ হলো সীমান্তের সামরিক অবস্থান, রাজনৈতিক সংঘাত এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। ন্যাটো-জোটও সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
সেনা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি শুধু ফ্রান্স নয়, পুরো ইউরোপকে সতর্ক থাকার সংকেত। প্রস্তুতি নিলে সংকট মোকাবিলা সহজ হয়।
স্বাস্থ্য নীতি বিশেষজ্ঞরা আরও যোগ করেছেন, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা শুধু চিকিৎসা নয়, সম্ভাব্য বড় ধরনের সংঘাত ও সঙ্কট মোকাবিলার জন্য সক্ষম হতে হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া ও ন্যাটো-জোটের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তাই ইউরোপের দেশগুলোকে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং নাগরিক সেবা ক্ষেত্রে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী ক্যাথরিন ভাউট্রিন এই প্রস্তুতিকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা দেশের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ।
তিনি বলেন, এটি কৌশলগত মজুতের মতোই, দেশের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
