শুভ জন্মদিন মানবহিতৈষী ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম
যুগান্তর ডেস্ক
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০৪:০১ | অনলাইন সংস্করণ
পুরো নাম শেখ আবু মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন জাতীয় অধ্যাপক।
ড. ইব্রাহিম ১৯১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ইউনিয়নের খাঁড়েরা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ হতে ১৯৩৮ সালে ডাক্তারী পরীক্ষায় পাশ করে ড. ইব্রাহিম কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রফেসর অব মেডিসিনের ওয়ার্ডে হাউস ফিজিশিয়ান হিসাবে কাজ করার সুযোগ পান।
পরবর্তীতে ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে তিনি ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ও প্র্যাকটিক্যাল ফার্মেসী বিভাগের সিনিয়র ডেমনসট্রেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশ বিভাগের পর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন পদে যোগদান করেন।
একই সাথে তিনি জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিনের শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৪৮ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ইংল্যান্ড থেকে এম.আর. সি.পি. ডিগ্রী অর্জন করেন। তার পরের বছর আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ানস থেকে এফ.সি.সি.পি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৫০ সালে দেশে ফিরে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজের এডিশনাল ফিজিশিয়ান হিসাবে যোগদান করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে তিনি ক্লিনিক্যাল মেডিসিন ও মেডিসিনের প্রফেসর নিযুক্ত হন।
১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসেনের প্রফেসর ও অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকাকালীন সময়ে ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী কতিপয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের সহযোগিতায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় পাকিস্তান ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বারডেম হাসপাতাল নামের পরিচিত।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিক্স রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ও এর প্রতিকারে তার অবদান অনস্বীকার্য।
ডা. ইব্রাহিম মন্ত্রীর পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন।
চিকিৎসাবিদ্যায় অসাধারণ অবদানের জন্য এ মহান হিতৈষীকে ১৯৭৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসাবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় । ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হন এবং দেশে তিনিই প্রথম চিকিৎসাবিদ যিনি এই মর্যাদা পান।
১৯৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও মানব হিতৈষী ড. মোহম্মদ ইব্রাহিম পরলোক গমন করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শুভ জন্মদিন মানবহিতৈষী ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম
পুরো নাম শেখ আবু মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন জাতীয় অধ্যাপক।
ড. ইব্রাহিম ১৯১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ইউনিয়নের খাঁড়েরা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ হতে ১৯৩৮ সালে ডাক্তারী পরীক্ষায় পাশ করে ড. ইব্রাহিম কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রফেসর অব মেডিসিনের ওয়ার্ডে হাউস ফিজিশিয়ান হিসাবে কাজ করার সুযোগ পান।
পরবর্তীতে ১৯৩৮ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে তিনি ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ও প্র্যাকটিক্যাল ফার্মেসী বিভাগের সিনিয়র ডেমনসট্রেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশ বিভাগের পর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন পদে যোগদান করেন।
একই সাথে তিনি জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিনের শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৪৮ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ইংল্যান্ড থেকে এম.আর. সি.পি. ডিগ্রী অর্জন করেন। তার পরের বছর আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ানস থেকে এফ.সি.সি.পি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৫০ সালে দেশে ফিরে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজের এডিশনাল ফিজিশিয়ান হিসাবে যোগদান করেন। তারপর পর্যায়ক্রমে তিনি ক্লিনিক্যাল মেডিসিন ও মেডিসিনের প্রফেসর নিযুক্ত হন।
১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসেনের প্রফেসর ও অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকাকালীন সময়ে ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী কতিপয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের সহযোগিতায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় পাকিস্তান ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বারডেম হাসপাতাল নামের পরিচিত।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিক্স রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ও এর প্রতিকারে তার অবদান অনস্বীকার্য।
ডা. ইব্রাহিম মন্ত্রীর পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন।
চিকিৎসাবিদ্যায় অসাধারণ অবদানের জন্য এ মহান হিতৈষীকে ১৯৭৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসাবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় । ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হন এবং দেশে তিনিই প্রথম চিকিৎসাবিদ যিনি এই মর্যাদা পান।
১৯৮৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও মানব হিতৈষী ড. মোহম্মদ ইব্রাহিম পরলোক গমন করেন।