৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা: পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় জানাল পিএসসি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম

মে মাসের ৮ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার হলে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই ঢুকতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
রোববার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। পৌনে ১০টার পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
৮ থেকে ১৯ মে চলবে ৪৬তম বিসিএসের অবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা। গত ১৩ মে কমিশন জানিয়েছিল, এ বিসিএসের পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর পরীক্ষা জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে।
সময় হাতে নিয়ে কেন্দ্রে আসার পরামর্শ
রোববার প্রকাশিত আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসির পক্ষ থেকে লিখিত পরীক্ষার প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
কমিশন বলছে, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি’ এড়িয়ে চলতে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড়ে বিন্যাস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারি দৈবচয়নের ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় আসন ও কক্ষ খুঁজে পাওয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে প্রার্থীদের।
সুষ্ঠুভাবে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং হলের সুশৃঙ্খল পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা পরিচালনা–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ফলাফল আবার নতুন করে প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৩৯৭ জন। আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পান ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থী।
এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।