মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের ২০ কর্মকর্তা বরখাস্ত
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘কাউন্টার সেটিং’ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএম)। পাশাপাশি একই অপরাধে আরও ২২৭ জন কর্মকর্তা তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জেআইএম নিশ্চিত করেছে, এই কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে সিন্ডিকেট আকারে কাজ করছিলেন। আদালতের রায় এবং দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর এদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর জেনারেল দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেন, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাদার ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের অফিসাররা অন্তর্ভুক্ত নন। তাদের মামলা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পাবলিক সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত বছর বিভাগটির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাভঙ্গের ২৫৪টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। চলতি বছর এ পর্যন্ত আরও ১৯৯টি মামলা সমাধান হয়েছে, আর বাকি ৭৪টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
জাকারিয়া বলেন, আমরা পরিষেবার সততা ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করি না। প্রমাণ সংগ্রহে সময় লাগলেও অসদাচরণের দায়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা পূর্বে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ), পেনাং, বুকিত কাইউ হিতাম ও জোহরের বাঙ্গুনান সুলতান ইস্কান্দার (বিএসআই) প্রবেশ কাউন্টারগুলোতে কর্মরত ছিলেন।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে- ‘কাউন্টার সেটিং’ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কাজে সম্পৃক্ত করা হতো। যারা অস্বীকৃতি জানাতেন, তাদের বয়কট কিংবা বহিষ্কার করা হতো।
২০১৭ সাল থেকে এই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক কর্মকর্তা অভিযুক্ত হতে পারেন। ইতোমধ্যে রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ (পিডিআরএম) ও মালয়েশিয়ান দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) সহযোগিতায় তদন্ত চলছে।
ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল জানান, বিদেশি কর্মী কাউন্টার ও দেশের প্রবেশপথে কর্মরত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের এখন থেকে সম্পদ ঘোষণা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সততা জোরদার করতে বিভাগে ১০ জন এমএসিসি ক্যাডার অফিসারও মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এমএসিসি ক্যাডাররা পর্যবেক্ষক, উপদেষ্টা ও রিপোর্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাদের লক্ষ্য হবে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা।
