Logo
Logo
×

পরবাস

আইফেল টাওয়ারের ইতিকথা

Icon

ফয়সাল আহাম্মেদ দ্বীপ, ফ্রান্স থেকে

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:০৩ পিএম

আইফেল টাওয়ারের ইতিকথা

ফরাসী বিপ্লব স্বরনীয় করে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছিলো আইফেল টাওয়ার। আইফেল টাওয়ার প্যারিস শহরের আকর্ষণ নয়, গোটা বিশ্বে পরিচিত এক নাম।। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার আইফেল টাওয়ারটি ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

যদিও তা অমান্য করা হয়েছে। নির্মাণের ২০ বছর পর এটি খুলে ফেলারও সিদ্বান্ধ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই আইফেল টাওয়ারে খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। ১৩১ বছর বয়সী এ টাওয়ার কাছে টানছে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আর সমৃদ্ধি রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। 


যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর এভাবেই মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে লোহা দিয়ে তৈরী এ স্তম্ভ যা কিনা সপ্তম আশ্চার্য্যের অন্যতম নিদর্শন। কিন্তু প্রশ্ন হলো পর্যটকদের কাছে দেখার মতো কি এমন বস্তু এটি, যাকে ঘিরে বছর জুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে প্যারিসে। 


আইফেল টাওয়ার, প্যারিসের সেইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম নিদর্শন।  গোস্তাব আইফেল ১৮৮৯ সালে এটি নির্মাণ করেন। ১০৫০ ফুট উচ্চতার এ বিশাল টাওয়ার টি  মাত্র ৩০০ জন শ্রমিক ২ বছর ২ মাস ২ দিনে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।
 

পরবর্তী ১৯৪০ সালের আগপর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩০০ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এ টাওয়ারটিই ছিলো সবচেয়ে উচ্চতর টাওয়ার । 
 

টাওয়ারের চুড়া থেকে পুরো শহরের সৌন্দর্য্য দেখা যায় বলে অনেক পর্যটককে আকর্ষন করে এ আইফেল টাওয়ার। প্রতি বছর কয়েক লক্ষাধিক পর্যটক প্যারিস আসেন শুধু মাত্র আইফেল টাওয়ারকে কেন্দ্র করে। 

সূর্যাস্তের পর প্রতি ঘন্টায় ৫ মিনিটি করে ২০০০০ বাল্বের আলোক ছটা এক অপরুপ সৈৗন্দর্য্য ধারন করে যা কিনা পর্যটকদের আকর্ষনীয় করে তুলে। 
 

বিশেষ দিনগুলোতে আইফেল টাওয়ারকে বিশেষ রঙ্গে সাজানো হয়। ফলে আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পায়। তিল ধরারও ঠাই থাকে না, দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড় থাকে চোখে পড়ার মতো।
 

আইফেল টাওয়ার শুধু ফ্রান্সের সৌন্দর্য্য বর্ধণ করেনি বরং অবদান রাখছে জাতীয় অর্থনীতিতেও। 

আইফেল টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার হুমকিও এসেছে জঙ্গি সংগঠন আই এস এস থেকে তাই আইফেল টাওয়ারকে বিশেষ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে এর সৌন্দর্য্য দেখার সুযোগ রয়েছে। 

 

টাওয়ার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম