ফিনল্যান্ডে বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস নিয়ে আলোচনা সভা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভার্চুয়াল নান্দনিক আলোচনা। বাংলাদেশ ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) এই আলোচনা আয়োজন করে। রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল নান্দনিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং বিজয় অর্জনের আগে দেশের জন্য সকল আত্মত্যাগ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বিডিপিএফের ভার্চুয়াল নান্দনিক আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান বিডিপিএফ-এর নির্বাহী সভাপতি ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা-চেতনা এবং বিজয় অর্জনের মূলমন্ত্রকে প্রযুক্তির যুগ কীভাবে একটি সন্দর সেতু তৈরি করতে পারে, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আলোচনার প্রথমে বাংলা ভাষায় প্রেজেন্টেশন (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ফিঙ্গার প্রিন্টিং ফর আউটডোর মোবাইল ইউজার পজিশনিং) প্রদান করেন ইভাস্কুলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল।
প্রশ্নোত্তর পর্বে ড. মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশের রাস্তার গতি আধুনিকরণ না করার কারণে আমাদের অর্জিত জ্ঞানকে দেশের উন্নতিতে কাজে লাগানো অনেকটা অসম্ভব। নান্দনিক আলোচনার প্রথম প্রশ্নোত্তর পর্বে ছিলেন ড. দৃস্টি পারভেজ, ড. কাশিফ নিজাম খান এবং ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম। আলোচনার সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন অধ্যাপক ড. জি এম আতিকুর রহমান, সদস্য বিডিপিএফ।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডুসেন্ট ড. মানজুর আলম আলোকপাত করেন বুদ্ধিজীবীদের অবদান, বিজয় দিবসের চেতনা এবং আমাদের করনীয় বিষয় নিয়ে। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অসমাপ্ত কাজগুলো আমরা কীভাবে সমাপ্ত করতে পারি এবং বিজয় দিবসের চেতনার মূলমন্ত্র কী ছিল, তা নিয়ে প্রাণবন্ততা আলোচনা করেন।
ড. আলম বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আমরা কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবো তা নির্ভর করছে একজন মানুষের অন্তর্দৃষ্টি, দূরদৃষ্টি এবং দেশের জন্য সাহসিক পদক্ষেপ। তার মতে, বুদ্ধিজীবীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কতটা যুক্তিযুক্ত তা সময় বলে দিবে। স্বাধীনতার উনপঞ্চাশ বছরে এসেও আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, সংখ্যা এবং শিক্ষার পদ্ধতি- প্রযুক্তিগত নিয়ে ইঁদুর দৌড় আগামী প্রজন্মকে কী বার্তা দিচ্ছে, এটা সমাজ চিন্তকদের ভাবার বিষয় বলে তিনি মনে করেন।
ড. আলম আরও বলেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ঠিকানা ও পরিচয় সম্বলিত পদক্ষেপ আগামী প্রজন্মদের দেশ প্রেম শিখাবে এবং এই দেশপ্রেমকে সুসংহত ও টেকসই করার জন্য প্রয়োজন। সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা তা অবশ্যই বাংলা ভাষাতে হতে হবে।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরে অংশগ্রহণ করেন ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ এবং ড. শরিফ চৌধুরী।
আলোচনার বিরতি পর্বে প্লাটফর্মে যোগদানকারী নতুন ডক্টর সদস্যদের সাথে পরিচয় এবং কুশলাদি বিনিময় হয়।
ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন বিডিপিএফ-এর সদস্য ড. নাফিসা ইয়াসমিন, ড.কাশিফ নিজাম খান, ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ, ড. দৃস্টি পারভেজ, ড. সাকিরা হাসান, ড. শরিফ চৌধুরী, ড. গোলাম মোঃ সারোয়ার, ড. রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল, ড. জি এম আতিকুর রহমান, ড. মনজুর আলম, ড. এস এম সফিকুল আলম, ড. এ এইচ এম সামসুজ্জোহা ও ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
ফিনল্যান্ডে বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস নিয়ে আলোচনা সভা
যুগান্তর ডেস্ক
১৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৬:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভার্চুয়াল নান্দনিক আলোচনা। বাংলাদেশ ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) এই আলোচনা আয়োজন করে। রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল নান্দনিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং বিজয় অর্জনের আগে দেশের জন্য সকল আত্মত্যাগ বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বিডিপিএফের ভার্চুয়াল নান্দনিক আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান বিডিপিএফ-এর নির্বাহী সভাপতি ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা-চেতনা এবং বিজয় অর্জনের মূলমন্ত্রকে প্রযুক্তির যুগ কীভাবে একটি সন্দর সেতু তৈরি করতে পারে, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আলোচনার প্রথমে বাংলা ভাষায় প্রেজেন্টেশন (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ফিঙ্গার প্রিন্টিং ফর আউটডোর মোবাইল ইউজার পজিশনিং) প্রদান করেন ইভাস্কুলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল।
প্রশ্নোত্তর পর্বে ড. মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশের রাস্তার গতি আধুনিকরণ না করার কারণে আমাদের অর্জিত জ্ঞানকে দেশের উন্নতিতে কাজে লাগানো অনেকটা অসম্ভব। নান্দনিক আলোচনার প্রথম প্রশ্নোত্তর পর্বে ছিলেন ড. দৃস্টি পারভেজ, ড. কাশিফ নিজাম খান এবং ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম। আলোচনার সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন অধ্যাপক ড. জি এম আতিকুর রহমান, সদস্য বিডিপিএফ।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডুসেন্ট ড. মানজুর আলম আলোকপাত করেন বুদ্ধিজীবীদের অবদান, বিজয় দিবসের চেতনা এবং আমাদের করনীয় বিষয় নিয়ে। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অসমাপ্ত কাজগুলো আমরা কীভাবে সমাপ্ত করতে পারি এবং বিজয় দিবসের চেতনার মূলমন্ত্র কী ছিল, তা নিয়ে প্রাণবন্ততা আলোচনা করেন।
ড. আলম বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আমরা কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবো তা নির্ভর করছে একজন মানুষের অন্তর্দৃষ্টি, দূরদৃষ্টি এবং দেশের জন্য সাহসিক পদক্ষেপ। তার মতে, বুদ্ধিজীবীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কতটা যুক্তিযুক্ত তা সময় বলে দিবে। স্বাধীনতার উনপঞ্চাশ বছরে এসেও আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, সংখ্যা এবং শিক্ষার পদ্ধতি- প্রযুক্তিগত নিয়ে ইঁদুর দৌড় আগামী প্রজন্মকে কী বার্তা দিচ্ছে, এটা সমাজ চিন্তকদের ভাবার বিষয় বলে তিনি মনে করেন।
ড. আলম আরও বলেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ঠিকানা ও পরিচয় সম্বলিত পদক্ষেপ আগামী প্রজন্মদের দেশ প্রেম শিখাবে এবং এই দেশপ্রেমকে সুসংহত ও টেকসই করার জন্য প্রয়োজন। সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা তা অবশ্যই বাংলা ভাষাতে হতে হবে।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরে অংশগ্রহণ করেন ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ এবং ড. শরিফ চৌধুরী।
আলোচনার বিরতি পর্বে প্লাটফর্মে যোগদানকারী নতুন ডক্টর সদস্যদের সাথে পরিচয় এবং কুশলাদি বিনিময় হয়।
ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন বিডিপিএফ-এর সদস্য ড. নাফিসা ইয়াসমিন, ড.কাশিফ নিজাম খান, ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ, ড. দৃস্টি পারভেজ, ড. সাকিরা হাসান, ড. শরিফ চৌধুরী, ড. গোলাম মোঃ সারোয়ার, ড. রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল, ড. জি এম আতিকুর রহমান, ড. মনজুর আলম, ড. এস এম সফিকুল আলম, ড. এ এইচ এম সামসুজ্জোহা ও ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023